৮ ঘণ্টা কাজ যথেষ্ট

দীপিকা পাডুকোন

বেশ কয়েক দিন ধরেই অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা নিয়ে আপত্তি তুলছেন বলিনউড-অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। বিশেষ করে নারী অভিনয়শিল্পীদের ৮ ঘণ্টার বেশি কর্মঘণ্টা তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। এ নিয়ে বেশ কবার তিনি তোপের মুখেও পড়েছেন। তাও তাকে দমানো যায়নি। আবারও তিনি এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘“নতুন মায়েরা যখন কাজে ফিরে আসেন, তখন তাদের কীভাবে সমর্থন দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমি খুবই সচেতন। এ বিষয়টার দিকে আমি গভীর মনোযোগ দিতে চাই। বিষয়টাই সেরকম।”

হার্পার’স বাজার -কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা অতিরিক্ত কাজকে স্বাভাবিক করে ফেলেছি। এর নাম প্রতিশ্রুতি নয় যে আমরা কাজ করতে করতে নিজেকে নিশেষ করে ফেলব। মানুষের শরীর ও মনের জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা কাজই যথেষ্ট। সুস্থ থাকলেই কেবল আপনি সেরা কাজটা দিতে পারবেন। নিঃশেষিত হওয়া কাউকে দিয়ে জোর করে কাজ করালেও তা ভালো হয় না। দীপিকা জানান, তার অফিসে কঠোরভাবে ৫ দিন এবং দিনে ৮ ঘণ্টা কাজের নীতি মেনে চলা হয়, সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি। তিনি বলেন, “আমার নিজের অফিসে আমরা সোমবার থেকে শুক্রবার, দিনে আট ঘণ্টা কাজ করি। আমাদের মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন নীতিমালা আছে। শিশুদেরকে কর্মস্থলে নিয়ে আসাকে স্বাভাবিক করা উচিত।”


মাতৃত্ব তাকে কীভাবে বদলে দিয়েছে, তা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মাতৃত্ব অমাকে শতভাগ বদলে দিয়েছে। মা হওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি সন্তানের জন্যও যথেষ্ট সময় দরকার। একজন কর্মজীবী নারী, বিশেষ করে যিনি ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় কাজ করেন তার জন্য এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তারা কীভাবে মাতৃত্বকালীন পরিস্থিতি একই সাথে সমলায় সেটা হয়তো আপনি কল্পনা করে কিছুটা অনুমান করতে পারবেন, কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা বুঝতে পারবেন না।

এ বছর শুরুর দিকে বার্ট ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবি মোটেও “হাস্যকর বা অযৌক্তিক” নয়। চলচ্চিত্রের সেটে থাকা কঠিন কর্মপরিবেশের কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না যে আমি যা চাইছি তা হাস্যকরভাবে অযৌক্তিক। যিনি এই সিস্টেমের মধ্যে অনেদিন কাজ করেছেন তিনিই জানেন আমরা কী পরিস্থিতিতে কাজ করি। আমি এটা বলছি, একজন টপ স্টার হিসেবে। তাই আপনি সহজেই কল্পনা করতে পারেন বাকিদে কী অবস্থা! অন্যান্য কলাকুশলীদের কাজের পরিবেশ কেমন হতে পারে!”

রণবীর কাপুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর দীপিকা পাডুকোন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলেন বলে জানান। সেসব তিনি খোলাখুলি জানান গণমাধ্যমকে। ২০১২ সাল থেকে তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সহ-অভিনেতা রণবীর সিংহের সাথে। ২১০৮ সালে তারা আনুষ্ঠানির বিয়ের ঘোষণা দেন। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্পেম্বর জন্ম হয় তাদের কন্যাসন্তান দুয়ার। এরপর থেকেই দীপিকা পুরোপুরি বদলে যান। একদিকে যেমন কাজ নিয়ে সময়ানুবর্তিতা হন অন্য দিকে মাতৃত্ব ও পরিবার নিয়েও অতিরিক্ত সচেতন হয়ে ওঠেন। নারী অধিকার বিষয়ে সচেতনামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “মাই চয়েস”-এ তিনি চয়েস”-এ তিনি তার অসাধারণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

অভিনেত্রীবলিউড
  • বিনোদনের দুনিয়া