মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে প্রথম হবার পথে বাংলাদেশের মিথিলা

রাজু আলীম

বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে আলো ছড়াচ্ছেন মিথিলা। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চলছে ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা, যেখানে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের সুন্দরীরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন মিথিলা, যিনি শুধু রূপ নয়, বুদ্ধিমত্তা ও আত্মবিশ্বাসের জোরে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচারক ও দর্শকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।Tangia Zaman Methila

মাত্র কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন সেরা পাঁচে, এরপর সেরা তিনে, আর এখন উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, “পিপলস চয়েস” বিভাগে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, এই বিভাগে বিজয়ী প্রতিযোগী সরাসরি মিস ইউনিভার্সের সেরা ৩০-এ জায়গা করে নেবেন। অর্থাৎ, মিথিলার জন্য এই ভোটগুলো কেবল একটি সংখ্যার খেলা নয় এটি বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সের ফাইনাল পর্বে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি করছে।

এই যাত্রা সহজ ছিল না। ২০২০ সালেই মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের মুকুট অর্জন করেছিলেন মিথিলা, কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক পর্বে অংশ নিতে পারেননি। চার বছর পর নতুন উদ্যমে, দীর্ঘ প্রস্তুতি আর কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে আবারও এই মঞ্চে ফিরে এসেছেন তিনি। ঢাকায় আয়োজিত জাতীয় প্রতিযোগিতায় মুকুট পরার পর থেকেই তিনি নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করেছিলেন—এইবার তিনি শুধু অংশ নিতে নয়, জিততে এসেছেন। থাইল্যান্ডে পৌঁছে প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই তার পারফরম্যান্স আলো কাড়ছে। প্রতিটি রাউন্ডে পোশাক, আত্মবিশ্বাস আর উপস্থাপনায় তিনি যেন নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করছেন।

এক আবেগঘন পোস্টে মিথিলা নিজেই লিখেছিলেন, “আমি কাঁদছি। আমি জানি না এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কী বলব। আপনাদের অমূল্য ভোট আমাকে সেরা পাঁচে এনেছে। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। এখন শুধু চাই, মুকুট নিয়েই দেশে ফিরতে।” এই বক্তব্যের মধ্যেই ধরা পড়ে তার বিনয় আর প্রত্যয়। তিনি জানেন, এই মুকুট কেবল তার নয়, এটি একটি জাতির স্বপ্ন, গর্ব এবং দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।