নিজের নামে খ্যাতিমান হওয়ার আগেই নুহাশ হুমায়ূন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য লেখার মধ্য দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ির নাম ‘নুহাশ পল্লী’ রাখার মধ্য দিয়েও তিনি পরিচিতি পান। হুমায়ূন আহমেদের ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি বড় পুত্র। বেশ কয়েক বছর ধরে নুহাশ হুমায়ূন টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। স্বাভাবিক কারণেই পিতাকে নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। পুত্রকে পিতা সম্পর্কে এমনও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যে, তিনি কি বাবাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন? নুহাশ হুমায়ূনের উত্তর- বাবাকে শুধু আমি না, বাংলাদেশের কোনো মানুষই ছাড়াতে পারবে না।
আজ (১৩ নভেম্বর) হুমায়ূন আহমেদের ৭৮তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে হুমায়ূনপুত্র বাবাকে নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার অস্তিত্ব জুড়ে বাবা। বাবাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শ্রদ্ধায়, ভালোবাসা আর স্মৃতিকাতরতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। বাবার প্রতি সন্তানের ব্যক্তিগত অনুভূতির জায়গা সরিয়ে তিনি একজন শিল্পী হিসেবে যখন হুমায়ূন আহমেদকে বিচার করতে যান তখন বলেন, ‘তিনি দেশের মানুষের কাছে যে অবস্থানে আছেন, সেখানে আর কেউ পৌঁছাবে না। হুমায়ূন আহমেদ একজনই ছিলেন, একজনই আছেন, আর দ্বিতীয়জন আসবেন না।’
নুহাশ হুমায়ূন সেভাবে বাবার পথ ধরে হাঁটেননি। লেখালেখিকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে না নিয়ে তিনি বেছে নিয়েছেন নির্মাণ। নিজের কাজ দিয়েই তিনি এখন খ্যাতি ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘ ইতি তোমারই ঢাকা’, ‘পেটকাটা ষ’ ও মশারী। ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৮ সালে প্রদর্শিত হয়। বর্তমান তরুণপ্রজন্মের একজন উল্লেখযোগ্য নির্মাতা তিনি। যখন কেউ প্রশংসা করে বাবার সাথে তুলনা করে বলেন, নির্মাতা হিসেবে তুমি বাবাকেও ছাড়িয়ে যাবে!
এমন কথার বিপরীতে স্বাভাবিকভাবেই ভাষা হারিয়ে ফেলেন নুহাশ হুমায়ূন। বলেন, ‘বাবাকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। আমার কাছে মনে হয়, শুধু আমি না, বাংলাদেশের কেউই তাঁকে ছাড়াতে পারবে না। আমরা সবাই তাঁকে ট্রিবিউট দিতে পারি, নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারি।
নতুন পোস্ট