সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
আনন্দ আলো: ৬ অক্টোবর আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?
মাসুদ আলী খান: আমি জন্মদিন তেমন একটা পালন করি না। একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার জন্মদিন পালন করা হয়। জন্মদিনে এখন যেটা হয় আমার নাতি-নাতনীরাই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। আমার ছেলে-মেয়েরা, ছেলের বউ, নাতি-নাতনীরা আমাকে জন্মদিনে উইশ করে। খুবই ভালো লাগে।
আনন্দ আলো: ছোটবেলায় জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?
মাসুদ আলী খান: অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই। এখনকার জন্মদিন হচ্ছে আধুনিক ধাঁচের। বাচ্চাদের বাবা-মায়েরা এখন জাঁকজমকপূর্ণভাবে জন্মদিন পালন করে। নতুন জামা-কাপড় আর গিফটের ছড়াছড়ি। আমাদের ছোটবেলায় এখনকারমতো জন্মদিন পালন করা হতো না। জন্মদিনটা ছিল খুবই সাদামাটা। বাবা-মাকে নিয়ে জন্মদিন পালন করতাম। তারপর মাঝামাঝি সময়ে জন্মদিন পালন করা হতো না। এখন বয়স বাড়ছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়ু কমছে। এই বয়সে এসে আবার জন্মদিন পালন করা শুরু হয়েছে। ছেলে-মেয়েরাই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। নাতি-নাতনী আনন্দ করে এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।
আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে।
মাসুদ আলী খান: নাতি-নাতনীরাই সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। বিদেশ থেকে আমার ছেলে, বৌমা উইশ করে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নাটকের ছেলে-মেয়েরা এবং ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে।
মাসুদ আলী খান: ছোটবেলায় সবচেয়ে বেশি বল উপহার পেতে ভালো লাগতো। এখনকার জন্মদিনে নাতি-নাতনীরা এসে জড়িয়ে ধরে হ্যাপি বার্থডে বলে এটা আমার বড় উপহার।