Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

স্যার একটা অটোগ্রাফ প্লিজ…

সৈয়দ ইকবাল: তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে যেনো আনন্দের বন্যা সবার মনে। কেউ বই হাতে অটোগ্রাফ চাইছে, কেউ চাইছে মুঠোফোনে সেলফি তুলতে আবার কেউবা চাইছে একটু তাঁকে স্পর্শ করতে।  গতকাল বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে তাঁর ভক্তরা কাছে পেয়ে এমনই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। গতকালই প্রথম বইমেলায় আসেন জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ওস্ত্রীকে সাথে নিয়ে তিনি মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সাথে সাথেই ঘিরে ধরেন ভক্ত পাঠক শিশুকিশোররা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাম্রলিপির স্টলের পাশে চেয়ারে বসেছিলেন এই জনপ্রিয় লেখক। বসার সাথে সাথেই তাঁর লেখা বই হাতে ভক্তরা অটোগ্রাফের জন্য ঘিরে ধরেন। এসময় তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাই লাইনে দাঁড়াও। আমি সবাইকে অটোগ্রাফ দিবো। আজ তোমাদের অটোগ্রাফ দেয়ার জন্যই সিলেট থেকে এসেছি। কাউকে আমি অটোগ্রাফ না দিয়ে যাবো না। মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই কথা শেষ হতে না হতেই একটি মেয়ে লেখকের ক্রেনিয়াল বইটি হাতে তাঁর সামনে এসে বলেণ্ড স্যার একটা অটোগ্রাফ প্লিজ…। তিনি বইটিতে অটোগ্রাফ দিলেন। এরপরই আনন্দ আলো বইমেলা প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বললেন। এবারের মেলা নিয়ে তিনি বলেন, মেলার প্রবেশমুখ দেখেই ভালো লেগেছে। আর মেলার ভেতরে এসে ফাঁকা জায়গা দেখেও ভালো লাগছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সাজসজ্জা দেখে মনে হচ্ছে বইমেলা সুন্দরভাবেই চলছে। তবে সামনের দিনগুলোতে মেলায় আসর পর মেলা নিয়ে বলতে পারবো। তবে মেলায় পাঠকের সংখ্যা যে বাড়ছে একথা নিশ্চিত। প্রযুক্তির এই যুগে বইয়ের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রাহ নিয়ে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম বই পড়ছে এটা নিশ্চিত। তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে এসেও তরুণরা বই পড়ছে এটা অবশ্যই আমাদের সাহিত্যের জন্য ইতিবাচক একটা দিক। আর এজন্যই তরুণদের হাতে মানসম্পন্ন বইতুলে দিতে দিবে। যে বই চিন্তার উম্মেষ ঘটাবে। যে বই জাতীয় চেতনাকে জাগ্রত করবে এবং যে বই ইতিহাস জানাবে সেই বই তরুণদের বেশি বেশি পড়ায় উদ্বুদ্ধ করলে বুদ্ধিদীপ্ত আগামীর প্রজন্ম তৈরি হবে।