Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সুন্দর কেন্টিনে অসুন্দর দাম

প্রতিবারের মতো এ বছরও দু’ভাগে ছড়িয়েছে বইমেলা- বাংলা একাডেমি অংশ এবং বিশাল পরিসরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ। তবে পুরো মেলায় ক্যান্টিন রয়েছে মাত্র একটি। তাও আবার বাংলা একাডেমি অংশে। যার পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে বাংলা একাডেমি কর্মচারী ইউনিয়ন। তারা নিজেরাই মূল্য নির্ধারণ করেছে খাদ্য, পণ্যের, যা বাইরের তুলনায় প্রায় দুই-তিনগুণ বেশী। রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে মেলায় এসেছিলেন মো. আবদুল রহমান। সঙ্গে তার দুই সন্তান ও স্ত্রী। সারাটা সময় মেলা ঘুরে সন্ধ্যার পর ক্যান্টিনে বসে পরোটা-শিক কাবাব চাইলেন। চাহিদা মতো দেয়াও হলো। এতো ছোট যে পরোটাকে লুচিই বলতে হবে, কিন্তু মূল্য ১০ টাকা করে। আর শিক কাবাবের দাম ২২০ টাকা, যা অত্যধিক চড়া। বাইরে কোথাও এতো দাম হয় না শিক কাবাবের। এক প্লেট ফুচকা ৮০ টাকা। দাম শুনেই দ্রুত হাঁটা ধরলেন দুই যুবক। যাওয়ার পথে বলে গেলেন, দাম শুনেই খাওয়া হয়ে গেছে। আর কিছু বলা যাবে না- আসি আসি…। কাপে কফি দিলে, মূল্য ৩০ টাকা। এতো বেশি দাম হয় কী করে! বইমেলা তো বাণিজ্য মেলা নয়! এই মেলা ভাষার, চেতনার, ইতিহাসের… কর্তৃপক্ষ কেন বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রি করে পাঠকদের এতো ভোগাবে!- ক্ষেদোক্তি একজন ক্রেতা। ক্যান্টিনের সমন্বয় করছেন কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুরাইয়া আক্তার। আর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন ইউনিয়ন সদস্য আকলিমা আক্তার। খাদ্যের অতিরিক্ত দামের বিষয়ে তারা এড়িয়ে যান। সঙ্গে জানিয়ে দেন, একাডেমির কর্মীদের জন্য সব খাদ্য অর্ধেক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, শুধু পরিচয় দিলেই হবে। বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে- অর্ধেক চিকেন টিকা ২২০ টাকা, হাঁসের মাংস ২০০ টাকা, চিকেন ঝাল ফ্রাই ২০০ টাকা, গরু ভুনা ২০০ টাকা, চটপটি ৮০ টাকা, দই ফুসকা ১০০ টাকা, সাধারণ ফুসকা ৮০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি ১৬০ টাকা, হালিম ৮০ টাকা, লুডুলস ২০০ টাকা, বার্গার ৮০ টাকা, পিৎজা ১২০ টাকা, পিঠা ৩০ টাকা, ড্রিংকস ৪০ টাকা ও কফি ৩০ টাকা।