Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বিটিভির জন্মদিনে চ্যানেল আই এর শ্রদ্ধা

আজকের দিনে কে কার কথা মনে  রাখে? কে কাকে সম্মান করে? মনে রাখে কী পিছনের ইতিহাস? কোথায় ছিলাম? কোথায় আছি? কোথায় শিখেছি? কার কাছে শিখেছি? কে দিয়েছিল আমাকে শেকড়ের সন্ধান? এসব নিয়ে ভাবনার সময় কোথায়? সবাই যেন ব্যস্ত। যে কোনো মূল্যে সামনে এগিয়ে যেতে চায় সবাই। এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল টিভি মাধ্যম চ্যানেল আই।  আজকে দেশে টিভি মাধ্যমের এই যে এত বিস্তৃতি, এত সাফল্য; তা কি এমনি এমনি হয়েছে? শুরুটা কে করেছিল? শিখিয়েছিল কে? এক কথায় উত্তর- বাংলাদেশ টেলিভিশন অর্থাৎ বিটিভি। বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল। যার হাত ধরে আজ দেশে টেলিভিশন মাধ্যমের এত বিস্তৃতি, এত ব্যাপকতা। বিটিভি দেশের টিভি মাধ্যমের শেকড়। কাজেই শেকড়কে ভুলে গেলে চলবে না। তাই তো চ্যানেল আই প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর বিটিভির জন্মদিনে নিজস্ব আঙিনায় আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। চ্যানেল আই-এর চেতনা চত্বরে ‘গানে গানে সকাল শুরু’র বিশেষ পর্ব সাজানো হয়েছিল বিটিভির জন্মদিনকে ঘিরে। শীতের সুন্দর সকালে এই আয়োজনে এবারও হাজির হয়েছিলেন বিটিভি যুগে আলো ছড়ানো বর্তমানে দেশের রেডিও, টেলিভিশনসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্বদানকারী বিশিষ্টজনেরা।

বিটিভির জন্মদিন। পালন করছে চ্যানেল আই। এ এক অনন্য উদ্যোগ। এজন্য সবার মুখে চ্যানেল আই-এর জন্য প্রশংসা। অনেকে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বললেন- বিটিভি অর্থাৎ বাংলাদেশ টেলিভিশন আমাদের শেকড়। চ্যানেল আই প্রতি বছর সে কথা মনে করিয়ে দেয়। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত

চ্যানেল আই-এর চেতনা চত্বরে রবীন্দ্রকন্যা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও তাঁর সহযোগী শিল্পীদের কণ্ঠে সমবেত সঙ্গীতের মাধ্যমে বিটিভির জন্মদিন পালনের এই অনিন্দ্য সুন্দর অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। তারপর গান ও বিটিভি যুগের স্মৃতি তর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান এগিয়ে যেতে থাকে। অনেকে দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও সহকর্মীকে কাছে পেয়ে আবেগে জড়িয়ে ধরেন। তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ, বিটিভির মহাপরিচালক হারুন রশীদ, বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ সালাহ উদ্দিন জাকী, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সৈয়দ হাসান ইমাম, মিনারা জামান, ড. এনামুল হক, কামরুন্নেসা হাসান, আতাউর রহমান, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুসৱাফা, খালিদ হোসেন, আজাদ রহমান, মোস্তফা জামান আব্বাসী, ইন্দ্রমোহন রাজ বংশী, আলী ইমাম, বরকত উল্লাহ, মহিউদ্দিন ফারুক, আব্দুল মান্নান, আনোয়ারা সৈয়দ হক, আবেদ খান, নাসির উদ্দিন দিলু, ফরহাদুর রেজা প্রবাল, আবদুন নূর তুষার, রহমত আলি, হাফিজুর রহমান সুরুয, নাসির আহমেদ. লুৎফর রহমান রিটন, কেকা ফেরদৌসী, হাবিব আহসান, ঝুনা চৌধুরী, আসলাম সানী, ফিরোজ মাহমুদ, হাসান আরিফ, সুলতানা হায়দার, চয়নিকা চৌধুরী, আরমান পারভেজ মুরাদসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মৌসুমী বড়ুয়া।

বিটিভিতে মিলনমেলা

BTV-CHANNEL-i-1বিটিভি ভবনে বিটিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মাইক্রোফোনে কথা বলছিলেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুসৱাফা। উপস্থাপকের প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ৫২ বছর পূর্তির অনুভূতি। এই অনুভূতি আর আবেগের সম্মিলন ঘটল ২৫ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে রামপুরা টেলিভিশন ভবনে আয়োজন করা হয়েছিল এক অনুষ্ঠানের। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অংশনেন বিটিভির নতুন-পুরোনো অভিনয়শিল্পী ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা। সূচনা বক্তব্য ও বিটিভির যন্ত্রসংগীতশিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা, সজীব, কিরণ চন্দ্র রায় ও গানের দল চিরকুট। ৫২ পাউন্ডের কেক কাটার পাশাপাশি ওড়ানো হয় রঙ বেরঙের বেলুন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্যসচিব মরতুজা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, শিল্পী মুসৱাফা মনোয়ার, বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদসহ অনেকেই।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার ডিআইটি ভবনের নিচতলায় এনইসি (নিপ্পন ইলেকট্রিক কোম্পানি) জাপানের সহায়তায় বিটিভির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৬৭ সালে টেলিভিশন করপোরেশন ও স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বাংলাদেশ টেলিভিশন একটি সরকারি গণমাধ্যমে রূপান্তরিত হয়।