Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

দেখতে হবে সংস্কৃতি যেন নষ্ট না হয়-কিরণ চন্দ্র রায়

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা লোকসঙ্গীত ও ভক্তিগীতির অমিয়ধারায় নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি শ্রোতাদের মন জয় করে চলেছেন। সম্প্রতি বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে শিল্পীর কণ্ঠে ধারণকৃত প্রাচীন ভক্তিগীতি পদাবলী কীর্তনের সংকলন ‘মেঘ যামিনী’ অ্যালবামটি।

আনন্দ আলো: ‘মেঘ যামিনী’ অ্যালবামটি সম্পর্কে বলুন।

কিরণ চন্দ্র রায়: মধ্যযুগীয় বৈঞ্চব পদাবলী থেকে ১০টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে অ্যালবামটি। গানগুলো হলো- মাধব বহুত মিনতি করি, ঢল ঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি, সই কেবা শুনাইল শ্যাম-নাম, রূপ লাগি আঁখি ঝুরে, সুখের  লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, গোঠে আমি যাবো মাগো, আজু রজনী হম ভাগে গমওল, মেঘ যামিনী চলাল কামিনী, ঐ বেনু বাজে ও অল্প বয়সে মোর। সব গানের যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন কলকাতার দুর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।

আনন্দ আলো: অ্যালবামটি নিয়ে আপনি কেমন আশাবাদী?

কিরণ চন্দ্র রায়: বাংলা গানের আদিযুগের গান হচ্ছে কীর্তন। সাধারণত রাধাকৃষ্ণের লীলা ও গৌরাঙ্গের জীবন গাথার বিভিন্ন পর্যায় অবলম্বনে কীর্তন রচনা করা হয়। সঙ্গীত নিয়ে যে তর্ক-বিতর্ক হয়, আমি মনে করি তার সমাধানে আমার এ অ্যালবামের গানগুলো খুবই উপযোগী ভূমিকা পালন করবে। আমি খুবই আশাবাদী শ্রোতাদের গানগুলো ভিন্ন এক রস এনে দেবে। এতে শ্রোতারা সুরের বৈশিষ্ট্য ও গানের বাণী সব মিলে নতুনত্বের সাদ পাবে, যা সবার চিত্ত জয় করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।

আনন্দ আলো: লোক গানে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে আপনার অভিমত কী?

কিরণ চন্দ্র রায়: এটাও দৈনদশার পরিচয়। আমরা যদি আমাদের বাংলা গানে শাশ্বত যন্ত্র সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে বিদেশি যন্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের উচিত লোকজ যন্ত্র ব্যবহার করে নতুনদের এ গানে উৎসাহ দেয়া। সংস্কৃতির জানালা খোলা। কিন্তু দেখতে হবে কতটুকু গ্রহণ করলে আমার স্বকীরতা নষ্ট হবে না। সেটুকু মাথায় রেখে অগ্রসর হতে হবে। লালনের গানের সুর-বাণী অক্ষত রেখে বুঝে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যদি পরিমিতি বোধ না থাকে তাহলে সে গানের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হবে। গানের ক্ষেত্রে দেখতে হবে আমাদের সংস্কৃতি যেন নষ্ট না হয়।

 কুমার বিশ্বজিৎ-এর নতুন অ্যালবাম

Kumar-Bijjow-jit-3-4চলতি বছরই নিজের প্রথম মিউজিক্যলি ফিল্ম ‘সারাংশে তুমি’ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। এটি বেশ সাড়া ফেলে শ্রোতা-দর্শক মহলে। এখানে তার সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেন সামিনা চৌধুরী, ন্যানসি ও শুভমিতা। এদিকে এ অ্যালবামের  পরই স্টেজ শো ও নতুন গান রেকডিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছু দিন ব্যস্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সফর নিয়ে। সেখানে কয়েকটি শোতে অংশ নিয়েছেন তিনি। এর আগেই তিনি কাজ শুরু করেছিলেন নিজের নতুন একক অ্যালবামের। একটু সময় নিয়ে এ অ্যালবামের কাজটা করছেন তিনি। এরই মধ্যে কয়েকটি ট্র্যাকের কাজও শেষ হয়েছে। কয়েকজন গীতিকারের গান থাকছে তার এ অ্যালবামে। গানগুলোর সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করছেন কুমার বিশ্বজিৎ নিজেই। এ বিষয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, একক অ্যালবামের কাজ আরও আগেই শুরু করেছি। তবে স্টেজ শো ও অন্যান্য কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম এতদিন। এখন আবার কাজ শুরু করেছি। বেশ কিছু ভিন্নধর্মী কথা ও সুরের গান তৈরি করছি। কিছু চমকও থাকবে। আমার বিশ্বাস গানগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

দশ বছর পর তপু-আনিলা

‘এক পায়ে নূপুর’ গানটি দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনায় এসেছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী তপু ও আনিলা। ২০০৬ সালের এই গানটির পর অবশ্য তাদের একসঙ্গে আর কোনো গানে পাওয়া যায়নি। দশ বছল পর আবারও তপু-আনিলা একসঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘যাবে কী চলে’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন তপু। সুর করেছেন যাত্রী ব্যান্ড দলের সদস্য শামস। গানটির সঙ্গীতায়োজনের কাজ চলছে। তাদের এগানটি যাত্রী ব্যান্ড দলের দ্বিতীয় অ্যালবামে স্থান পাবে। অ্যালবামটির সব গান লিখেছেন তপু। এতে গান থাকছে মোট নয়টি। তপু বলেন, আমার সব সময়ই আনিলার সঙ্গে গান গাইতে ভালো লাগে। তবে আনিলা যেহেতু আমেরিকায় থাকে তাই তার সঙ্গে এতদিন সময় মেলাতে পারিনি। এ গানটি আনিলার খুব পছন্দ হয়েছে। আশা করছি শ্রোতাদের কাছে গানটি উপভোগ্য হবে। আগামী বছরের শুরুতে জি-সিরিজের ব্যানারে যাত্রী ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবামটি প্রকাশ হবে।