Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জন্মদিনে দুই লাইনের লেখাও ভালো লাগে-শাকুর মজিদ

২২ নভেম্বর বিশিষ্ট লেখক, স্থপতি শাকুর মজিদের জন্মদিন।

কথা হলো এই গুণী লেখকের সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ২২ নভেম্বর আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

শাকুর মজিদ: আমার জন্মদিনটা একেক বছর একেক রকমভাবে পালন করা হয়ে থাকে। কখনো মায়ের সঙ্গে আমার বাড়িতে, কখনো আমার পরিবারের সঙ্গে, আবার কখনো বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এবার আমার জন্মদিনটা পালন করা হবে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে। ওইদিন আমার ১৭টি ভ্রমণ গ্রন্থ নতুন করে ছাপিয়ে একটা প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন হবে। ভ্রমণ সমগ্র ৪র্থ খÐ বইটি প্রকাশ করছে কথা প্রকাশ। এ উপলক্ষে ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে প্রকাশনা উৎসব, জন্মদিনের আয়োজন এবং সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন থাকবে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলায় জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

শাকুর মজিদ: ছোটবেলায় আমাদের কোনো জন্মদিন পালন করা হতো না। আমার যখন ২৫ বছর বয়স তখন আমার প্রথম জন্মদিন পালিত হয়। আমি তখন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার ২৫তম জন্মদিনটি আমি বন্ধুদের সঙ্গে পালন করেছিলাম। ২৫ বছরের আগ পর্যন্ত আমার কোনো জন্মদিন পালন করা হয় নাই। আমার জন্মদিনের কথাটা আমি জানতাম। আমি নিজে মনে মনে পালন করতাম। অন্য কেউ জানতো না যে আজকে আমার জন্মদিন। এখনকার জন্মদিন যতটা না আমার তার চেয়ে বেশি আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের জন্য। আমার জন্মদিনে আমার পরিবারের সদস্যরা, বন্ধু-বান্ধবরা অনেক আনন্দ করে। নানা রকমের আয়োজন করে, কিছু না কিছু সারপ্রাইজ আমাকে দেয়। এই বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর প্রতিবছর জন্মদিন এলে মনে হয় জীবনের আয়ু আরেক বছর কমে গেল। এরকম করে আমার বয়স ৫২ বছর শেষ হয়ে গেল। এবার আমি ৫৩ বছর বয়সে পা দিব।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

শাকুর মজিদ: সবার আগে সন্তানরা আমাকে উইশ করে। প্রতিবছরই দেখছি তারা আগের দিন রাত ১২.০১ মিনিটে আমাকে উইশ করে। তারপর বিদেশ থেকে ভাই বোনেরা উইশ করে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে। আমার জন্মদিনে আমি মাকে ফোন করি।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

শাকুর মজিদ: যে কোনো উপহারই মানুষকে আনন্দ দেয়। আমাকে ভালোবেসে সবাই যখন উইশ করে ওটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার। বেশির ভাগ মানুষ ফুল উপহার দিয়ে থাকে। বন্ধু-বান্ধবরা আমার পছন্দের জিনিসপত্র উপহার দেয়। আবার কেউ কেউ যখন জন্মদিনে উইশ করে দুলাইন লিখলে তখন খুবই ভালো লাগে।