Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চ্যানেল আই এর সুন্দর কেকটাই শ্রেষ্ঠ উপহার-সুবীর নন্দী

আনন্দ আলো: ৩০ নভেম্বর আপনার জন্মদিন। এই দিনটা কীভাবে পালন করেন?

সুবীর নন্দী: প্রতিবছরই একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার জন্মদিন পালন করা হয়। মেয়েই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। একেক করে অনেক বছরের জন্মদিন হয়ে গেল।  এখন মনে রাখার মতো যে কাজটি হয় সেটা হচ্ছে প্রতিবছর চ্যানেল আই থেকে জন্মদিনের একটা সুন্দর কেক পাঠায়। ভালো লাগে। আবার ওই দিনটায় তাদের তারকাকথন অনুষ্ঠানে আমাকে নিয়ে জন্মদিন পালন করে। গল্প হয়।  কেক কাটা হয়। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন আর ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। এইভাবে কেটে যায় জন্মদিনটা। এবার আমি ৬৩ বছর বয়সে পা দেব। বাকি জীবনটা মানুষের ভালোবাসা নিয়েই যেন মরতে পারি।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

সুবীর নন্দী: পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন এখনকার মতো জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না। ছোটবেলার জন্মদিন একদম ঘরোয়া পরিবেশে পালন করা হতো। শিক্ষকরা বাসায় আসতেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা আসতেন। বাড়িতে ভালো ভালো রান্নাবান্নার আয়োজন হতো। দোকান থেকে কোনো মিষ্টি আনা হতো না। মা বোনরা বাড়িতে বসেই পায়েস, সন্দেশ ও নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করত। পরিবারের সকল সদস্যদের বেলায়ও এটি হতো। এখনকার জন্মদিন তো একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমার জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। ভালোই লাগছে।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

সুবীর নন্দী: আমার মেয়েই সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর আমার স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। আমার মেয়ে যখন থেকে কথা বলতে লিখেছে ও বুঝে তখন থেকেই সে মায়ের জন্মদিন, বাবার জন্মদিন পালন করে থাকে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

সুবীর নন্দী: আমাকে ভালোবেসে সবাই যখন উইশ করে এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার। আবার কেউ কেউ হয়তো কাপড় চোপড় পাঠায়। তবে খুব ভালো লাগে যখন চ্যানেল আই থেকে সুন্দর একটা কেক আসে।