Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একই তারিখে আমার বাবাও জন্মেছেন-ইরেশ যাকের

৬ নভেম্বর জনপ্রিয় অভিনেতা ইরেশ যাকেরের জন্মদিন। কথা হলোÑ এই জনপ্রিয় অভিনেতার সঙ্গে।
আনন্দ আলো: ৬ নভেম্বর আপনার জন্মদিনটা কীভাবে পালন করেন?
ইরেশ যাকের: আনন্দের বিষয় হলো ৬ নভেম্বর আমার বাবারও জন্মদিন। বাবা আর আমি একসঙ্গে জন্মদিনটা পালন করে থাকি। একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমাদের জন্মদিন পালন করা হয়। ছুটির দিন থাকলে আমরা দুজন এক সঙ্গে কাটাই। আর যদি অফিস থাকে তাহলে অফিসের পর আমরা এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, অফিসের কলিগ, নাটকের কলিগ আর ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানাতে ফুল নিয়ে আসে।
আনন্দ আলো: ছোটবেলায় জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?
ইরেশ যাকের: পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল খুবই আনন্দের, মজার। সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম কবে আসবে আমার জন্মদিন। ছোটবেলায় জন্মদিন পালন করা বিরাট একটা বিষয় ছিল। স্কুলের বন্ধুরা, পাড়ার বন্ধুরা আমাদের বাসায় আসত। সবাই মিলে হৈচৈ করতাম। গেমস খেলতাম। বাসায় ভালো ভালো রান্না বান্নার আয়োজন হতো। কেক কাটা হতো। প্রচুর গিফট পেতাম। তখন এক ধরনের উৎফুল্লতা ছিল। এখনকার জন্মদিনে এই উৎফুল্লতা আর হয় না। এখন আর হৈচৈ করে জন্মদিন পালন করে কী লাভ। এ বয়সে এসে জন্মদিন উদযাপন করতে একটু যেন লজ্জা লাগে।
আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?
ইরেশ যাকের: সবার আগে আমি বাবাকে উইশ করি। বাবাও আমাকে জন্মদিনে উইশ করেন। তারপর মা- বোন উইশ করে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, অফিসের কলিগ, নাটকের কলিগ আর শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?
ইরেশ যাকের: যে কোনো উপহারই মানুষকে আনন্দ দেয়। জন্মদিনটাকে মনে রেখে সবাই যখন উইশ করে তখন খুবই ভালো লাগে। এর চেয়ে ভালো উপহার কী হতে পারে। মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে বড় উপহার।