সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
মোহাম্মদ তারেক:
আনন্দ আলো: আপনি কোন দিক?
সিদ্দিক: আমি উত্তর দিক না, দক্ষিণ দিক না, পূর্ব দিক না, পশ্চিম দিকও না। আমি সিদ্দিক।
আনন্দ আলো: সিদ্দিক নামের অর্থ কী?
সিদ্দিক: সিদ্দিক নামের অর্থ সত্যবাদী। সে কখনো মিথ্যা কথা বলে না।
আনন্দ আলো: এ যাবৎ কতজন সিদ্দিকের সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছে?
সিদ্দিক: মটু-পাতলু, খাটো লম্বা মিলে হাজার খানেক হবে।
আনন্দ আলো: এত কিছু থাকতে অভিনয় এলেন কেন?
সিদ্দিক: অভিনয়ে এলাম নিজের নাম ফাটানোর লাইগ্যা।
আনন্দ আলো: প্রতিদিন নিশ্চয়ই ফেসবুকে ঢুঁমারেন। প্রথমে কী খোঁজেন?
সিদ্দিক: প্রথমেই খুঁজি বউ ফেসবুকে আছে কী না? এটা হচ্ছে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়। ফেসবুক মানে বউ আতঙ্ক। গালফ্রেন্ড আতঙ্ক।
আনন্দ আলো: অনেকেই বলেন, কৌতুক অভিনেতারা একটু বোকা হয় বা তাদের চেহারা বোকা ধরনের। কথাটা বিশ্বাস করেন?
সিদ্দিক: কৌতুক অভিনেতারা কখনো বোকা হয় না। যদি কেউ বিশ্বাস করে কৌতুক অভিনেতারা বোকা হয় তাহলে তার মতো বোকা আর কেউ নাই।
আনন্দ আলো: প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে মনে মনে কী বলেন?
সিদ্দিক: মনে মনে বলি আজকে যেন শুটিংটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আগে যেন বাসায় চলে আসতে পারি।
আনন্দ আলো: লটারীতে ১ কোটি টাকা পেলেন। তখন কী করবেন?
সিদ্দিক: পুরো টাকাটা বউকে দিমু। তার খুব টাকা দরকার মনে হয়। কারণ প্রতিদিন বাসায় গেলেই বলে টাকা লাগবে, টাকা লাগবে।
আনন্দ আলো: আপনাকে একদিনের জন্য মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন?
সিদ্দিক: মঙ্গলগ্রহে বউকে ছাড়া অন্য কাউকে নেয়া যাবে না। কারণ বউ মাইন্ড করবে।
আনন্দ আলো: ধরা যাক কোনো গ্রামে আপনি শুটিং করতে গেলেন। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন বলার সঙ্গে আপনার সামনে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হাজির হয়ে গেল। তখন আপনি কী করবেন?
সিদ্দিক: বাঘ মামা, আমার ইন্টারভিউ নিতে আইছেন। প্লিজ বসেন শর্ট টা দিয়া লই। তারপর আপনার কাছে ইন্টারভিউ দিমু।
আনন্দ আলো: আপনি নাকি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন। ঘটনা কী?
সিদ্দিক: জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতো আনন্দ আর নাই। কারণ জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতে কোনো ট্যাক্স লাগে না। এর কোনো সীমানা থাকে নাতো। সেজন্য জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি।
আনন্দ আলো: প্রথম কোনো মানবীর প্রেমে পড়েছিলেন। বুকে হাত দিয়ে বলবেন…
সিদ্দিক: অবশ্যই মায়ের প্রেমে পড়েছিলাম। মায়ের প্রেমে পড়েই তো পৃথিবীতে এসেছি।
আনন্দ আলো: আপনার পাঁচটি ভালো গুণের কথা বলুন?
সিদ্দিক: আমি একজন সত্যবাদী মানুষ। সহজেই মানুষের প্রেমে পড়ে যাই। যাকে ভালোবাসি তাকে অফুরন্ত ভালোবাসি। কখনো মানুষকে কষ্ট দেই না। পারলে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।
আনন্দ আলো: আপনার পাঁচটি খারাপ গুণের কথা বলুন?
সিদ্দিক: সময় মেইনটেন করতে পারি না। অনেক কিছু ভুলে যাই ইচ্ছা করে। যেখানে দেখি খরচ করতে হবে সেখানে কম যাই। বউয়ের কাছ সব সময় বলি টাকা নাই। সময়ও নাই।
আনন্দ আলো: ধরা যাক আপনি একটা মারাত্মক অপরাধ করেছেন। শাস্তি হিসেবে আপনাকে একটি কৌতুক বলতে বলা হলো। কোন কৌতুকটি বলবেন।
সিদ্দিক: একলোক প্রচণ্ড অলস এবং কিপটা। বন্ধুরা তাকে অন্য বন্ধুদের কাছে নিয়ে যেতে চান না। কারণ তাকে নিয়ে গেলে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। একদিন একবন্ধু এই অলস-কিপটা বন্ধুকে নিয়ে যান অন্য এক বন্ধুর কাছে।
বন্ধু। তোমারে আগে থেকে বলে রাখি ও কিন্তু খুবই কিপটা। ওর সঙ্গে মিশো না।
ও কেমন কিপটা?
একবার ওর বাসায় আগুন লাগছিল। দাউ দাউ কইরা জলতাছে আগুন। ও এমন কিপটা যে বাসায় থাইকা ফায়ার ব্রিগেডে মিস কল দিল।
আনন্দ আলো: একদিন ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ দেখলেন আপনি হাম্বা হয়ে গেলেন। তখন কী করবেন?
সিদ্দিক: তখন হাম্বা-হাম্বা-হাম্বা বলে ডাকবো। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
আনন্দ আলো: শোনা কথা আপনি নাকি স্ত্রীকে ভয় পান। ঘটনা কী?
সিদ্দিক: সেটা প্রচণ্ড ভালোবাসার কারণে হতে পারে। ভালোবাসার মানুষকে ভয় পাওয়া যায়।
আনন্দ আলো: ধরা যাক চার্লি চাপলিনের সঙ্গে আপনার দেখা হলো। কী করবেন?
সিদ্দিক: হাতটা বাড়িয়ে বলব কনগ্রেচুলেশন। আপনার সঙ্গে আমার দেখা হলো।
আনন্দ আলো: আপনার অভিনয় দেখে অনেকে বিনোদন পান। আপনার বিনোদন কিসে?
সিদ্দিক: যারা অভিনয় দেখে বিনোদন পান। তাদের ভালোবাসাই আমার বিনোদন।
আনন্দ আলো: আগে ছিল মাছে-ভাতে বাঙালি, আর এখন?
সিদ্দিক: এখন হাতে মোবাইলে বাঙালি।
আনন্দ আলো: চাঁদ মামাকে ডাকলে আসে না কেন?
সিদ্দিক: কারণ চাঁদ মামা জানে আমাদের দেশে প্রচণ্ড আকারে দুর্নীতি আছে। সে জন্য আসে না।