Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তারকার ফেসবুক

ভালোবাসায় পাগলামি লাগে!

মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর কথার বা¯ত্মবতা টের পাওয়া গেল সঙ্গীত শিল্পী ও সংবাদ পাঠিকা লোপা হুসাইনের একটি স্ট্যাটাস থেকে। আসলেই মানুষের সৎ চেষ্টা থাকলে কী না করতে পারে! লোপা হুসাইন তার টাইমলাইনে লিখেছেন… ‘আমি যেদিন প্রথম এটিএন বাংলায় সংবাদ উপস্থাপন করি, সেদিন ছিল আমার পরীক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার তখন অনার্স থার্ড ইয়ার ফাইনাল চলছে। যে সময়টাতে আমার নিউজ ছিল, পরীক্ষা শেষ করে আমি সেই নিউজ কোন ভাবেই ধরতে পারতাম না। কিন্তু অফিস থেকে যখন ফোন করে বলা হল ‘আপনি ৫ অক্টোবর বিকেলে নিউজ পড়বেন’, আমি তাকে বলতে পারলাম না যে সেদিন আমার পরীক্ষা। তাও আবার ইয়ার ফাইনাল! আমার কি করা উচিত ছিল? একদিকে স্বপ্নপূরণের হাতছানি, অন্যদিকে বা¯ত্মবতা। কোনটাকে রাখবো? কোনটাকে ছাড়বো? বিরাট দুশ্চিšত্মায় পড়ে গেলাম… তারপর কি করলাম জানেন? আমি পরীক্ষা দিতে গেলাম, কিন্তু সঙ্গে নিউজ পড়ার শাড়ি,গয়না আর কসমেটিক্স বক্স নিয়ে। পরীক্ষার খাতায় ১ ঘণ্টা লিখলাম। ঠিক ততখানি লিখলাম, যতখানি লিখলে আমি পাস নম্বর পাবো এবং চতুর্থ বর্ষের ফাইনালে আমি বিষয়টির পরীক্ষা আবার দেয়ার জন্য আবেদন করতে পারব। ১ ঘণ্টা পর ‘কিছুই কমন পড়ে নাই, কি লিখব’ বলে খাতা জমা দিয়ে দৌঁড়ে এটিএন বাংলায় এসে তৈরি হয়ে নিউজ পড়লাম। আমার প্রথম সংবাদ উপস্থাপনা … ৫ অক্টোবর। আজ আমি আমার সংবাদ উপস্থাপনা ক্যারিয়ারের ১০ম বছরে পদার্পণ করলাম। এই পেশায় আসতে আমি যে পাগলামি করেছি, যে রিস্ক নিয়েছি, তা হয়ত অনেকেই পারবেন না। কিন্তু আমি মনে করি, ভালোবাসায় পাগলামি থাকবেই। তা কোন মানুষের প্রতি হোক, অথবা কোন বস্তু, বিষয়, শখ বা পেশার প্রতি হোক। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গেলে পাগলামি থাকতে হয়। নইলে স্বপ্নকে ছোঁয়া যায় না। আমি আমার স্বপ্নকে ছুঁয়েছি। সাহায্য করছি অন্যদের যারা আমার মত করে স্বপ্ন কে ছুঁতে চায়। এই দীর্ঘ সময়ে আমাকে যারা আজকের আমি হতে সাহায্য করেছেন, শিখিয়েছেন, রা¯ত্মা দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা।

অস্থিরতাই উইকেট পতনের কারন

FARUKIমোস্তফা সরয়ার ফারুকী চলচ্চিত্র উন্নয়নকল্পে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার টাস্কফোর্স গঠনের তীব্র সমালোচনা করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার টাইমলাইনে লিখেছেন… ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: টিভি স্ক্রলে দেখাচ্ছে ‘দুই দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে যৌথ ভাবে কাজ করতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ টাস্কফোর্স গঠিত’! কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো: অ উন্নয়নটা কার দরকার? ভারতের না বাংলাদেশের? শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে দুই দেশেরই উন্নয়ন দরকার । ভারতের চলচ্চিত্র উন্নয়নে বাংলাদেশের সাহায্য দরকার এটা একটা নতুন জ্ঞান বটে। অ আর যদি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নের দায়িত্ব বলিউড নিয়ে থাকে সেটাও পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন জ্ঞানই বটে। কখনো শুনি নাই এক দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন আরেক দেশের পক্ষে ঘটানো সম্ভব। হ্যাঁ কিছুটা উইন উইন কোলাবোরেশন হতে পারে যদি ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নতুন দিনের ফিল্মমেকারদের ছবিতে বিনিয়োগ করেন। ফলে তাদের একটা বিনিয়োগের ক্ষেত্র হয় আর আমাদের নতুন ছবি গতি পায়। কিন্তু সেই লক্ষণ কি কেউ দেখছেন? আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ঈমান আনা একজন মানুষ। আমার বহু কাজের সঙ্গী ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএফডিসি। ভারতের নিউ ওয়েভের আমি সমর্থক এবং বন্ধু। আমার কাজেরও তারা সমর্থক এবং বন্ধু। আমরা নানা ভাবেই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এই সম্পর্ক এবং সহযোগিতা সামনে আরো বাড়বে। কিন্তু যখনই এইসব ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন মার্কা’ ছেলে ভোলানো কথা বলা হয় তখনই রাগ ধরে। আরে ভাই ভারতের ছবি বাংলাদেশে ঢোকাতে চান, সেটাতে সমস্যা তো নাই। আগে জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাটা হতে দেন। সেখানে নীতি ঠিক হোক কত শতাংশ আমদানি করা যাবে, স্থানীয় ছবি কত শতাংশ দেখাতে হবে, বিদেশী ছবির উপর কর কত শতাংশ হবে। কতবার বলবো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার তার প্রয়োজন মাফিক নীতিমালা আছে। যে কারনেই স্থানীয় ছবি কম কর দেয়, হিন্দী বেশী কর দেয়। কেবল করের ক্ষেত্রে না, নীতিমালা ছবির প্রদর্শন হার নির্ধারণের টুলও বটে। সেই নীতিমালা তাই আগে ঠিক হওয়া ফরজ। কিছুদিন আগে আমরা অনেকেই নীতিমালার উপর মতামত দিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো কি হলো এখনও জানি না। তো সেই নীতিমালা ঠিক হলে তো আর এইসব টাস্কফোর্স লাগছে না। ভারতের বন্ধুদের বোঝার সময় এসেছে এই বিষয়টা যারা ডিল করছে, তারা চরম অপরিপক্কতা ও অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের তো নয়ই, ভারতেরও উপকার করবে না। মনে রাখা প্রয়োজন, অস্থিরতা উইকেট পতনের কারণ।

চল ডার্লিং সেলফি তুলি!

কয়েকদিন আগে আকষ্মিকভাবে মারা গেলেন এবিসি রেডিওর জনপ্রিয় আরজে প্রত্যয়। প্রত্যয়কে নিয়ে অভিনেত্রী রুনা খান লিখেছেন … ‘দেখা হলেই’ চল ডার্লিং সেলফি তুলে ফেলি”… আর কখনো বলবি না! আর কখনোই দেখাই হবে না প্রত্যয়  কি অদ্ভুত?

ভালোবাসার চুড়ি!

nowshin-পছন্দের সেলিব্রেটি মানেই তার অবস্থান মনের কাছাকাছি। পছন্দের সেলিব্রেটির জন্যে ভক্তদের পাগলামী করতেও দেখা যায়। ঢাকা এফএমের ঠিকানায় নানা রঙের চুড়ি পাঠানো একজন ভক্তের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী নওশীন… ‘ঈদের পরে ঢাকা এফএম অফিসে এসে দেখি একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আমি এখনো জানি না কে সেই ব্যক্তি যিনি আমার জন্য এতো সুন্দর উপহার পাঠিয়েছেন। ’

তুই আরো বেশি বেশি বিদেশে যা…

KONA-(545)কণ্ঠশিল্পীদের দেশের বাইরে প্রচুর ট্যুর থাকে। প্রবাসীদের আমন্ত্রণে তারা হরহামেশাই বিদেশ গিয়ে থাকেন। সম্প্রতি কণ্ঠশিল্পী লিজা ইউএসএ ট্যুর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। সেটা নিয়ে খুবই উচ্ছ¡সিত আরেক কণ্ঠশিল্পী কনা। কেন? পড়ুন কনার স্ট্যাটাস… ‘ইইয়ে, আমি ভীষণ ভীষণ খুশি। ধন্যবাদ আমার সোনা পাখি লিজা, ইউএসএ থেকে সুপার ডুপার গিফট আনার জন্যে। তুই আরো বেশি বেশি বিদেশ যা।’

কী পাও ওপরে? বললো স্বাধীনতা…

taslima-nasreenমানুষ মাত্রেই রোমাঞ্চপ্রিয়। সেই রোমাঞ্চ উদযাপনের কত যে ধরণ মানুষের! পাহাড়ের চুঁড়ায় উঠতে মানুষ কতই না রোমাঞ্চ অনুভব করে। ঠিক উল্টো অনুভূতির কথা জানালেন লেখিকা তসলিমা নাসরীন। তিনি তার টাইমলাইনে লিখেছেন… ‘দু’তিন বছর আগে মোন্ট বøাঁ’তে উঠেছিলাম। মোন্ট বøাঁকে সাদা পাহাড় বলা যায়। সবসময় সাদা বরফ জমে থাকে বলেই হয়তো ওটিকে সাদা পাহাড় নাম দেওয়া হয়েছে। আল্পস পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় ওটি। প্রতিবছর কুড়ি হাজার লোক যায় পাহাড়টিতে। মোন্ট বøাঁর সবকিছু খুব ভালো, খারাপের মধ্যে হলো, এয়ার ইÐিয়া ফ্লাইট দু’বার ওই পাহাড়ে ক্রাশ করেছে। প্রথমবার মারা গিয়েছে ৪৭ জন, দ্বিতীয়বার ১১৭ জন। বিখ্যাত ভারতীয় ফিজিসিস্ট হোমি ভাভা ছিলেন ওই ১১৭ জনের মধ্যে। পাহাড় আমার দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে। ওপরে উঠলে যে কোনও সমতলের মতোই বোধ হতে থাকে। সেদিন এভারেস্ট ছবিটা দেখলাম, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যে কেন পাহাড়ের চূড়োয় ওঠে! শামোনি শহর থেকে মোন্ট বøাঁতে উঠেছিলাম। না, বেয়ে উঠিনি। মেশিন আছে ওপরে তোলার। কিছু পর্বতারোহীর সঙ্গে কথা হলো, যারা মোন্ট বøাঁতে উঠছিল পায়ে হেঁটে। ওদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন ওঠো এত কষ্ট করে? কী লাভ! কী পাও ওপরে? বললো, স্বাধীনতা।’

আহ কী চমৎকার সুপারমুন

lotaঅপার্থিব সৌন্দর্য দেখে মানুষ অবাক বিষ্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাষাতীত সেই সৌন্দর্য বর্ণনা করে সাধ্য কার! লুৎফুন নাহার লতা তার টাইমলাইেনে লিখেছেন… ‘কী আলৌকিক সৌন্দর্য সারা পৃথিবীর প্রকৃতি জুড়ে। যেন রূপ সাগরে অরূপের মহোৎসব। আজকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কটকাতে, সুপারমুন। মাথা নষ্ট করা সৌন্দর্য। কিছু বলার নাই।’