Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

হুজ হু অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ গুণীজন

রেযা খান

হুজ হু ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি র‌্যাডিসন ব্লু গার্ডেন ভেন্যুতে হুজ হু বাংলাদেশ-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরুর প্রথম বছরে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদনৱী ব্যক্তিত্ব আবদুল গাফফার চৌধুরী। ২০১৬ কালেন্ডার ইয়ারে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কৃষি, কর্পোরেট ও খেলাধুলাসহ নানা সেক্টরে অনবদ্য অবদানের জন্য চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমিরেটাস ড. আনিসুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সংগঠক ছায়ানট-এর সভাপতি ড. সনজিদা খাতুন, ব্র্যাক-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সাংবাদিক তোয়াব খান, গণমাধ্যম ও কৃষি উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, এসিআই গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা, রহিম আফরোজ গ্রুপ-এর উদ্যোক্তা নিয়াজ রহিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, ব্যারিষ্টার মনওয়ার হোসেন এবং ইউনিভার্সেল গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সংস্থা হুজ হু বাংলাদেশ-এর পেটেন্ট নিয়ে এই দেশে অপারেশন শুরুর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘হুজ হু’র বাংলাদেশ এ অপারেশন শুরুর জন্যে উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সৎ ও গুণী মানুষদের সম্মাননা না জানালে সমাজে কাজ করার উৎসাহ তৈরি হয় না। কাজেই এই ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠান আরও বেশি বেশি আয়োজন করা উচিত।

এবারের হুজ হু অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের পার্টনার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং টেলিপ্রেস।  হুজ হু বাংলাদেশ-এর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হুজ হু’র এই আয়োজনে সন্তুষ্টির কথা জানান। অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ মানুষের প্রতিভার অফুরন্ত সম্ভাবনার দেশ। দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ সব সেক্টরে অবদান রাখা কিছু ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা জানাতে পারা আমাদের জন্যে গর্বের। এখন থেকে প্রতিবছর এই আয়োজন সফলভাবে বাংলাদেশে করা হবে বলেও জানান ড. এ কে আবদুল মোমেন।