Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সময় পেলে শুধু ঘুমাই!

চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক দু’মাধ্যমেই ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। নতুন কিছু নাটকে অভিনয়ও করছেন তিনি। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি-

আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?

চঞ্চল চৌধুরী: ঈদের ছুটি কাটিয়ে প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলোর শুটিং শুরু করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মামলাবাজ’ ও ‘মামা বাড়ির আবদার’ প্রভৃতি। তবে আপাতত নতুন কোনো ধারাবাহিকে কাজ করছি না। তবে নতুন কিছু খ নাটকে শুটিং করছি।

আনন্দ আলো: আয়নাবাজি ছবি নিয়ে বলবেন-

চঞ্চল চৌধুরী: অসাধারণ একটি গল্প নিয়ে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের পটভূমি গড়ে উঠেছে। এতে কাজ করে দারুণ ভালো লেগেছে। শুধু তাই নয় এর আগে এতটা ভালো ছবির ইউনিট আর পাইনি। আমি এটা দেখেই মুগ্ধ হয়েছি। এছাড়া অমিতাভ রেজার মতো গুণী একজন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্ব হচ্ছে। আমি তো এর আগেও চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। আমার অভিনীত প্রতিটি ছবিই ভিন্নধর্মী ছিল। ‘আয়নাবাজি’ও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ছবিটি নিয়ে শুরু থেকেই আমার মধ্যে অন্যরকম এক উচ্ছ¡াস কাজ করেছে।

আনন্দ আলো: অনেকেই ফেসবুকে লাইক, ফলোয়ার এন্ড কমেন্টস দিয়ে তারকার জনপ্রিয়তা বিচার করে। আপনার কী মত?

চঞ্চল চৌধুরী: ফেসবুক ফলোয়ারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার বাচবিচার করার বিষয়টির বিপক্ষে আমার অবস্থান। কারণ আমার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা ৭০ হাজার। তার মানে দেশে ও দেশের বাইরে আমার কি শুধু ৭০ হাজার ভক্ত! আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের মধ্যে পাঁচ-সাত কোটি দর্শক আমার নাটক দেখেন।

আনন্দ আলো: অভিনয়ের বাইওে আপনি কি করেন?

চঞ্চল চৌধুরী: আমি সময় পেলেই ঘুমাতে চেষ্টা করি। এক কথায় বলা যায়, অভিনয়ের বাইরে আমি অনেকটা অলস প্রকৃতির। সময় পেলে কিছু বই পড়ি, মুভিও দেখি। আমার স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। ঘরে-বাইরে সব কাজ তাকেই সামলাতে হয়। তাই আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগের কমতি নেই। আর আমিও তার অভিযোগগুলো চুপচাপ শুনে যাই।

মেহজাবিন-নিশোর আফটার ম্যারেজ

after-marrige‘ব্রেকধাপ ব্রেকডাউন’ নাটকে বেশ সাড়া পেয়েছিলেন নির্মাতা রূপক বিন রউফ। এবার নাটকটির সিক্যুয়েল তৈরিতে হাত দিয়েছেন তিনি। ‘আফটার ম্যারেজ’ মূলত দাম্পত্য জীবনের চড়াই-উৎড়াই, টানাপোড়েনের গল্প। কাহিনী ভাবনা ও পরিচালনা করেছেন রূপক বিন রউফ। স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অঞ্জন সরকার জিমি। সম্প্রতি নগরীর উত্তরার ক্ষণিকালয়, দিয়াবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় শুটিং শেষ হয়েছে। নাটকের প্রধান দুই চরিত্র রোহান ও ওয়ারিসা। রোহান একটি অ্যাড ফার্মের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। ব্যক্তিগত জীবনে খানিকটা আলাভোলা টাইপের। তাদের মধ্যে হরদমই ঝগড়া লেগে থাকে। ঝগড়ার ছুঁতোগুলোও ছোট ছোট। যেমন দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকীর সময় রোহান বাজার থেকে কেক আনে। কেকের গায়ে লেখা ‘থার্ড অ্যানিভার্সারি’। এটা নিয়েই ঝগড়া বাধে। এমনি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘আফটার ম্যারেজ’। নাটকে ওয়ারিসা ও রোহানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী ও আফরান নিশো। ওয়ারিসার বাবা-মার চরিত্রে আছেন কায়েস চৌধুরী, শেলি আহসান।

শেষ বেলার কাব্য

IMG_5033কাব্য বেলাকে একবার দেখা মাত্রই ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু বেলা কেনো জানি কাব্যকে মেনে নিতে পারে না। কাব্যও নাছোড়বান্দা। সে সবসময় বেলাকে ফলো করতে থাকে। সে যেখানে যায় তার পিছু নিতে থাকে কাব্য। এদিকে ভার্সিটির অন্যান্য ছেলেমেয়ের কাছেও বিষয়টি নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু শেষমেশ ঘটতে থাকে অন্যরকম এক ঘটনা। এমনি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘শেষ বেলার কাব্য’। বাশরী অনন্যার গল্পে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মেজবাহ শিকদার। এতে কাব্য চরিত্রে অপূর্ব এবং বেলা চরিত্রে মম অভিনয় করেছেন। অপূর্ব বলেন, ‘নাটকের গল্পে বেশ টুইস্ট আছে। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে শেষে কি ঘটবে এটা দেখার জন্য দর্শকদের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে হবে। খুব ভালো লাগছে এতে কাজ করে। আশাকরি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’ আবু সায়েম প্রযোজিত এতে আরো অভিনয় করেছেন সায়েম, বাশরী অনন্যাসহ অনেকে।