Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

লুকানো ভালোবাসা জমে উঠেছে!

লুকানো ভালোবাসা। নামটির মধ্যেই অনেক ভালোলাগার ব্যাপার আছে। সে কারণে চ্যানেল আইতে নিয়মিত প্রচার হওয়া এই টিভি সিরিয়ালটি এখন দেশের টিভি মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত। কী গ্রাম, কী শহর সব জায়গার দর্শকের কাছেই লুকানো ভালোবাসার প্রতি আকর্ষণ দিনে দিনে বাড়ছে। হাই-স্পিডি নিবেদিত বাংলায় ডাবিং করা এই বিদেশি টিভি সিরিয়ালটি চ্যানেল আইতে প্রতি সপ্তাহে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৮টায় নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। সে কারণে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৮টা মানেই লুকানো ভালোবাসা দেখার সময়। এটিই দেশের টিভি দর্শকের কাছে যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সাধারণ কোনো টিভি সিরিয়াল নয়। পারিবারিক দ্ব›দ্ব সংঘাতের পাশাপাশি পারিবারিক মায়ার বন্ধন রয়েছে এই টিভি সিরিয়ালের কাহিনীতে। প্রতিটি পর্বেই থাকে টান টান উত্তেজনা। তাই অজান্তে পরের পর্ব দেখার জন্য আগ্রহ জন্মায়। সে কারণে যে যেখানেই থাকুক না কেন সপ্তাহের তিন দিন অর্থাৎ বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৮টায় চ্যানেল আই-এর পর্দায় চোখ রাখা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

লুকানো ভালোবাসার বাংলা ডাবিং করা হয়েছে চ্যানেল আইতে নিজস্ব শিল্পী ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। দেখে মনে হবে এটি কোনো ডাবিং সিরিয়াল নয়। এটি বাংলা ভাষাতেই নির্মাণ করা হয়েছে। আর তাই আমাদের টিভি দর্শক পৃথিবীখ্যাত এই টিভি সিরিয়ালে নতুন কিছু খুঁজে পাচ্ছেন।

বিশ্বখ্যাত একঝাঁক অভিনয়শিল্পী

forbideen-love-1তুরস্কের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘ফরবিডেন লাভ’- এর বাংলা সংস্করণ ‘লুকানো ভালোবাসা’ শিরোনামে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। তুরস্কের ভাষায় এই টিভি সিরিয়ালের নাম ‘আশক-ই মেমনু’। যার বাংলা অর্থ ‘নিষিদ্ধ ভালোবাসা’ আর ইংরেজি নাম ‘ফরবিডেন লাভ’। বিশ্বের প্রায় চল্লিশটিরও বেশি দেশে ডাবিং হয়ে তুর্কি ভাষার এই সিরিয়ালটি প্রচার হয়েছে। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিশ্বখ্যাত এই টিভি সিরিয়ালটি এবার চ্যানেল আই নিয়ে এসেছে। প্রেম-ভালোবাসা আর প্রতিশোধের উত্তেজনাময় কাহিনী নিয়ে এগিয়ে যায় এই ২০০৮ সালে নির্মিত এই সিরিয়ালের গল্প। সিরিয়ালটির রচনায় রয়েছেন  এচে ইয়রেঞ্চ ও মেলেক গেঞ্চগুন্ড এবং পরিচালনা করেছেন হিলাল সারাল ও বারীশ ইয়শ। তুরস্কের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী এই সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। সিরিয়ালটিতে বেইতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেরেন সাত, বাহলুল চরিত্রে কিভাঞ্চ তাতলিতুগ, আদনান চরিত্রে সেলচুক ইয়ন্সেম, ফেরদৌস চরিত্রে নেবাহাত চেহরে, দেনিয দে কারতন চরিত্রে যেরিন তেকিন্দর, নিহাল চরিত্রে হাযাল কায়া, বুলেন্ত চরিত্রে বাতুহান কারাচাকায়া, পেইবার ওনাল চরিত্রে নূরু ফেত্তাখগুন্ড, নিহাত চরিত্রে ইকার কিজামাস অভিনয় করেছেন। আরো অভিনয় করেছেন হিল্মি, আয়নুর, বশির, সুলায়মান, শায়েস্তা, জমিলা, নাসরিন, সায়িদ, কাদিয়া, বালিন, আরসান।

সিরিয়ালটি তুরস্কের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ‘ক্যানাল ডি’ তে সম্প্রচারিত তুর্কি রোমান্টিক টেলিভিশন ধারাবাহিক। এটি হালিত জিয়া উশাক্লিগিল রচিত একই নামের ১৮৯৯ সালের উপন্যাসের নাট্যরূপ। তবে এতে মূল উপন্যাসের কাহিনীতে উনিশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটের পরিবর্তে সমসাময়িক ইস্তাম্বুলের পটভূমিতে কাহিনী চিত্রায়িত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে উপন্যাসটি অবলম্বনে প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মিত হয়। এছাড়াও প্যাশন প্রহিবিডা নামে ল্যাটিন ভাষাতেও ধারাবাহিকটি পুনঃনির্মিত হয়। তুরস্কে বর্তমানের রেকর্ড ভঙ্গকারী এবং সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত টিভি ধারাবাহিক এটি। পাকিস্তানে এর শেষ পর্বের রেটিং ছিল ১১.৯ যা একসঙ্গে ৯ কোটিরও বেশি দর্শক দেখেছিল। তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে এটি পাকিস্তানে একটি টিভি চ্যানেলে দ্বিতীয়বার সম্প্রচার করা হয়।