Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মায়া ছড়ানো সানিয়া রমা

মোহাম্মদ তারেক: এ প্রজন্মের নারী কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে প্লেব্যাক, অডিও অ্যালবাম, মিউজিক ভিডিও এবং স্টেজ প্রোগ্রামে নিজেকে অনেকটাই যোগ্য প্রমাণ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম সানিয়া রমা। সঙ্গীতের প্রতিটি মাধ্যমেই সমান তালে এগিয়ে চলেছেন এই শিল্পী। ধীরে ধীরে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ডাগোর ডুগোর’ এর সুবাদেই পেয়েছেন এই জনপ্রিয়তা। দুই বছর আগে সঙ্গীতাঙ্গনে হাঁটতে শুরু করেন রমা। ২০১৫ সালে ‘যার লাগিয়া’ মিক্সড অ্যালবামে ‘পাগল আমি’ গানটি গেয়ে তার শুরুটা ভালোই হয়। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বেশ কয়েকটি মিক্সড অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে তার স্বপ্ন ছিল সলো অ্যালবামকে ঘিরে। সেই স্বপ্নটা তার সত্যি হয়েছে। সিডি চয়েজের ব্যানারে প্রকাশিত হয় সানিয়া রমার সলো অ্যালবাম ‘ডাগোর ডুগোর’। প্রথম একক অ্যালবামটি প্রকাশ পাওয়ার পর শ্রোতাদের কাছ থেকে অনেক ফিডব্যাক পেয়েছেন তিনি। ‘ডাগোর ডুগোর’ অ্যালবামের ‘দয়াময়’, ‘ডাগোর ডুগোর’ গান দুটি শ্রোতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। সম্প্রতি লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে সানিয়া রমার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘মাটির গান’। সাতটি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে ডিভিডি এই অ্যালবামটি। অ্যালবামে তিনটি গান রয়েছে। মৌলিক আর ফিউশন রয়েছে চারটি। গানগুলোর শিরোনাম ‘হৃদ মাঝারে’, ‘জাতের বিচার নাই’, ‘যাবো মদিনা’, ‘দয়াময়-১’, ‘ডাগোর ডুগোর’, ‘নাচ’ ও ‘দয়াময়-২’। গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন জাভেদ আহমেদ কিসলু, সূচি সামস ও সোহেল রাজ। এরই মধ্যে অ্যালবামের ‘দয়াময়’ গানটি বেশ সাড়া ফেলছে দর্শক-শ্রোতামহলে। ‘মাটির গান’ অ্যালবামটি প্রসঙ্গে সানিয়া রমা বলেন, এ অ্যালবামটি নিয়ে এত সাড়া পাব কখনো ভাবিনি। সবার পজেটিভ রেসপন্স দেখে আমি খুবই আনন্দিত। বেশ যত্ন নিয়ে অ্যালবামের গানগুলো করেছি। আমি চাই শ্রোতারা আমার গান শুনুক।

বাগেরহাটের মংলা বন্দর এলাকায় বেড়ে উঠেছেন রমা। এখন বসবাস করছেন ঢাকায়। গান গাওয়ার সকল অনুপ্রেরণার পেছনে রয়েছে তার বাবা-মা, ভাই-বোন। তিন বছর বয়সে হারমোনিয়াম দিয়ে গান শেখা শুরু। গানে হাতে খড়ি ওস্তাদ মহানন্দ বিশ্বাসের কাছে। তার কাছে ৭ বছর তালিম নেন সঙ্গীতের উপর। এরপর ২০০৯ সাল থেকে এখনো পর্যনৱ ওস্তাদ সঞ্জীবদের কাছে ক্লাসিক্যালের উপর তালিম নিচ্ছেন।

ক্লাসিক্যালের পাশাপাশি আধুনিক, ফোক, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীত গাইতে পারেন তিনি। সেই ছোটবেলা থেকে গান বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার প্রথম  থাকতেন তিনি। নিজের প্রথম সলো অ্যালবাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। সরকারি অনুদানের এই ছবির নাম ‘মায়া’। ছবির ‘তোমার ভেতরে যেতে যেতে ভেতর হয়ে গেছি’ শিরোনামের গানটিতে খালেদ মুন্নার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মহিদুল হাসান মন। আরো বেশ কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করার কথা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে তিনি ‘রৌদে ভরা ইস্টিশন’ শিরোনামের একটি ফোক গানের কাজ করছেন। গানের কথা লিখেছেন সমেশ্বর অলি। গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করছেন বেলাল খান। গানটি প্রসঙ্গে রমা বলেন, খুব শিগগিরই গানটি সিঙ্গেল আকারে প্রকাশ করব। গানটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। বর্তমানে রমা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে এবং স্টেজে পারফর্ম করে যাচ্ছেন নিয়মিত। আগামীর স্বপ্ন কী? জানতে চাইলে সানিয়া রমা বলেন, গান আমার সাধনা, আমি ভালো গান করে যেতে চাই। সব সময় এমন কিছু সুন্দর গান গেয়ে যেতে চাই যেটা মানুষের হৃদয়ে ছুঁয়ে যাবে।