Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বাবা আমার জন্মদিনের কথাটা বেশি মনে রাখতেন -তারিক আনাম খান

আনন্দ আলো: জন্মদিন কী ভাবে পালন করেন?

তারিক আনাম খান: আমি জন্মদিন তেমন একটা পালন করি না। তবে আমার জন্মদিনটা স্ত্রী, ছেলেই পালন করে থাকে। বাসায় কেক কাটা হয়। ছেলে আমাকে ফুল দেয়। গ্রুপের সদস্য, নাট্যকর্মী, অফিস কলিগ আর শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

তারিক আনাম খান: বাবা-মা, ভাই-বোনকে ঘিরেই ছিল ছোটবেলার জন্মদিন। বাবা-মা যেভাবে জন্মদিন পালন করত, সেভাবেই আমার জন্মদিনটা পালন করা হতো। এবারের জন্মদিনে আমার খুব খারাপ লাগবে কারণ এক বছর হলো আমার মা মারা গেছেন। এখন তাকে খুব মনে পড়ে। বাবা মারা গেছেন আরও আগে। তাকেও মনে পড়ে। বিশেষ করে বাবাই আমার জন্মদিনের কথাটা বেশি করে মনে রাখতেন। কারণ ওই দিন সকালে ঘুম থেকে উঠিয়ে জন্মদিনের কথা বলতেন। আর সবাইকে আমার জন্মদিনের কথা জানিয়ে দিতেন। ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া হতো। বাসায় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা আসত। প্রচুর গিফট পেতাম। জন্মদিনে সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দ উদযাপন করতাম। ছোটবেলায় আনন্দ ছিল অন্য রকম। বিশেষ করে বাবা-মায়ের আদর-স্নেহ একেবারেই ভোলা যায় না। এখন জন্মদিন আসলেই মনে হয় জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। এখন আর বয়স বাড়ছে না। মানে আয়ু কমছে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

তারিক আনাম খান: উপহার তো উপহারই। যে কোনো উপহার পেতে ভালো লাগে। তবে জন্মদিনে ফুল উপহার পেতে খুবই ভালো লাগে। জন্মদিন আসা মানেই আয়ু থেকে এক বছর কমলো। মনে হয় নাটকের মাধ্যমে মানুষের জন্য, সমাজের জন্য কিছু কাজ করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় উপহার।