Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ফেসবুকে আমার একটা স্কুল আছে!-কনকচাঁপা

১১ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কনকচাঁপার জন্মদিন। কথা হলো গুণী এ শিল্পীর সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ১১ সেপ্টেম্বর আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

কনকচাঁপা: আমি জন্মদিন তেমন একটা পালন করি না। এখন ছেলে-মেয়ে, মেয়ের জামাই সবাই মিলে আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। কেক কাটা হয়। ফুল নিয়ে আসে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। আমি গত চারটি জন্মদিনে দেশের বাইরে ছিলাম। গত বছর জন্মদিনে আমি তপন দার বাসায় ছিলাম। বৌদি, তপন দার বোনেরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করে আমার জন্মদিনটা পালন করলেন। অন্য মানুষ যারা আত্মীয় নয় কিন্তু আত্মীয়র চেয়ে অনেক বেশি। তারা যে আমার জন্মদিনের কথা মনে রেখে আমাকে ভালোবেসে উইশ করে এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

কনকচাঁপা: ছোটবেলায় আমার জন্মদিন পালন করা হত না। আমাদের ফ্যামিলিতে ঘটা করে জন্মদিন পালনের বিষয়টা ছিল না। জন্মদিনে যেটা হত আমার মা নারিকেল, বাদাম দিয়ে স্পেশাল ভাবে পায়েস রান্না করতেন। আমরা খুব মজা করে খেতাম। কেক কেটে জন্মদিন পালন করার বায়না কখনো ছিল না। যখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। তখন একবার বায়না করে মাকে বললাম, আমার জন্মদিন করাই লাগবে। তারপরেও জন্মদিনে কেক ছিল না। কলা, চেনাচুর, নুডলস, ফ্রুট কেক, পায়েস এসব প্লেটে সাজিয়ে দিতেন মা। বিকেল বেলায় বান্ধবীরা বাসায় চলে আসত। সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দে কেটে যত দিনটি। আর এখনকার জন্মদিন ছেলে-মেয়েরাই পালন করে থাকে। এখন জন্মদিন আসলেই মনে হয় জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। এখন আর বয়স বাড়ছে না। মানে  আয়ু  কমছে।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

konok-chapa1কনকচাঁপা: ছেলে-মেয়েরা সবার আগে আমার জন্মদিনে উইশ করে। সঙ্গে আমার হাজভেন্ড, মেয়ের জামাই উইশ করে। ওরা আগের দিন রাত-১২.০১ মিনিটে আমার জন্মদিনে উইশ করার জন্য মোম নিয়ে অন্ধকার ঘরে বসে থাকে আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে। ওরা না বললেও আমি বুঝি যে ওরা কিছু একটা করবে। এটা প্রতিবারই হয়ে আসছে। এবার আমি দেশে থাকছি। এবারও এটা হবে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। আবার অনেকে ফোন করে। মোবাইলে ম্যাসেস পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। মেয়ের জামাইসহ আমার তিন সনৱান। কিন্তু এর বাইরেও আমি ৩০ জন ছেলে মেয়ের মা। ফেসবুকে আমার একটা স্কুল আছে। ওরা সবাই সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। ওদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাই সেটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া আমি মনে করি।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

কনকচাঁপা: জন্মদিনে ফুল উপহার পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। সাদা ফুলের প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা আছে। যেমন-দোলন চাপা ফুল। সেটা আমি আমার হাজভেন্ডের কাছ থেকে পেতে ভীষণ ভালো লাগে।