Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ফুল আর কলমই পছন্দ : সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী

মিডিযা় ব্যক্তিত্ব সালাউদ্দিন জাকীর জন্মদিন ২৬ আগস্ট। জন্মদিনের টুকিটাকি নিযে় কথা হল তাঁর সাথে।
আনন্দ আলো: আপনার কাছে জন্মদিন পালনের বিষয়টি কেমন লাগে?
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী: জন্মদিন পালন আমার তো ভালোই লাগে। আমাদের সময় ছোটবেলায় জন্মদিন পালিত হত না। তাই এখনকার মত দশটা পাঁচটা জামা উপহার পাবার মত বিষয়ও ছিল না। তখন সারা বছরে দুই তিনটা জামা দিযে়ই চলে যেত। আমার বাবারও মাত্র দুই তিনটা জামাই ছিল। জন্মদিন পালনের বিষয়টা পশ্চিমা দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তবে বিষয়টা ভালই। জন্মদিনে সবাই এপ্রিশিযে়ট করলে বেশ ভাল লাগে।
আনন্দ আলো: ফর্মাল ওযে়তে ঠিক কবে থেকে আপনার জন্মদিন পালন শুরু হয়?
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী: ঠিক মনে নেই। পারিবারিকভাবেই ছোটবেলায় বাবা মা জন্মদিন পালন করত। তবে এখনকার মত কেক কেটে না। জন্মদিন মানেই ভাল কিছু রান্না বান্না হত বাডি়তে। ফর্মাল জন্মদিন পালিত হতে থাকে পেশাগত জীবনে  ঢোকার পর থেকে।
আনন্দ আলো: জন্মদিনের সুন্দর কোন স্মৃতির কথা জানতে চাই।
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী: আমি তখন কানাডায়। একদিন চিত্রনাযি়কা ববিতা ফোন করে বললÐ জাকী ভাই আমি আসছি আপনার বাসায়। বললামÐ ঠিক আছে আসো। ববিতা তার ছেলে ও বোন চম্পাকে নিযে় কানাডায় আমার বাসায় এলো সাথে বড় সড় একটা প্যাকেট। হাসতে হাসতে বলল, আপনার জন্যে এনেছি। খুলে দেখি বিরাট একটা কেক। আমি খুবই সারপ্রাইজড হযে়ছিলাম। আমার জন্মদিন মনে রেখে তারা আমার জন্য কেক নিযে় এসেছে এটা অনেক বড় মুগ্ধতার বিষয় ছিল। তারপর আমরা সবাই মিলে নাযা়গ্রা ফলসে গিযে় কেক কেটেছি। এছাডা় জন্মদিনে অফিস কলিগরা বিভিন্ন সমযে় ভিন্নধর্মী কিছু আইডিযা়র মাধ্যমে আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে আমার পরিবারে কখনোই ঘটা করে জন্মদিন পালন করার চর্চা নেই। আমি আমার স্ত্রীর জন্মদিন কখনো মনে রাখতে পারি না। আর সেকারণেই আমার জন্মদিন আমার স্ত্রী মনে রাখুক আশা করলে বিরাট বিপদে পরতে হবে। তবে আমার মেযে় আমার জন্মদিন কখনোই ভোলে না। সে দেশের বাইরে থেকে প্রথমেই উইশ করে। আর উইশ করে আমার নাতী। এছাডা় প্রতিবছরই জন্মদিনে চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর কোনো না কোনোভাবে আমাকে মুগ্ধ করার ব্যবস্থা করে রাখে।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কি ধরণের উপহার পেতে ভালো লাগে?
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি: ফুল আর কলম পেতে সবসময়ই খুব ভাল লাগে। তবে স্টিল ক্যামেরা সংক্রান্ত কিছু পেলে অসাধারণ মুগ্ধতা কাজ করে। আমার বাবা ১৯৫৭ সালে আমাকে একটা কোডাক বক্স ক্যামেরা কিনে দিযে়ছিলেন। সেটা এখনো আমার কাছে আছে।