Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পঞ্চদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ- এই শ্লোগানে পর্দা উঠলো সিনেমা প্রেমিদের বহুল প্রতিক্ষিত পঞ্চদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। এ চলচ্চিত্র উৎসবের ২৫ বছর বা রজতজয়নৱী পূর্ণ হলো এবার। উৎসব উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, আমরা জানি অন্যান্য শিল্প ও সাহিত্য মাধ্যমের চেয়ে চলচ্চিত্র জটিল একটি মাধ্যম। মৌলিক অনেক শিল্পকলার সংমিশ্রনে এই শিল্পের জন্ম হয়, স্থানকালের সীমারেখা অতিক্রম করে পায় বৈশ্বিক ভাষা। সুতরাং এই শিল্প নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরও হতে হবে বিচক্ষণ ও বুদ্ধিদীপ্ত। বাংলাদেশের অনেক প্রাজ্ঞজনই চলচ্চিত্র শিল্পে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং রাখছেন। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে যারা বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দিয়েছেন, আমাদের চলচ্চিত্রকে করেছেন সমৃদ্ধ তাদের মধ্যে হীরালাল সেন, আব্দুল জব্বার খান, জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান, আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ সহ অনেকের নাম আজ উল্লেখ করা যায়। এই বরেণ্য নির্মাতারা কেবল বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধই করেননি, সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহমেদ মুজতবা জামাল, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ফেডারেশনের সভাপতি মিস আঁলিন তাসকীরান। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান মিলনায়তন, আমেরিকান কালচার সেন্টার, স্টার সিনেপ্লেক্স সহ মোট ৬টি ভেন্যুতে টানা ২০ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৬৭টি দেশের ১৮৮টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। উৎসবে এশিয়ান কমপিটিশন, রেট্টোস্পেকটিভ, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্মস, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট ও ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্মস, নরডিক ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকারস সেকশনে এ চলচ্চিত্র সমূহ প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য চলচ্চিত্র প্রেমী দর্শক উৎসবের বিভিন্ন ভেন্যুতে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উপভোগ করছেন।