সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
পৃথিবীতে কৃষি এসেছিল নারীর হাত দিয়ে। নারীই রোপণ করেছিল ফসলের প্রথম বীজ। দেশের কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষেতে খামারে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে কাজ করছেন। শুধু কৃষিখাত নয় অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীর অংশগ্রহণ বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে সাংবাদিকতা ছিল মূলত পুরুষকেন্দ্রিক। সাংবাদিকতাকে ভাবা হতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। রাতের চাকরি। কাজেই মেয়েরা এ পেশায় নিরাপদ নয়। সময় বদলে গেছে। কী সংবাদপত্র, কী ইলেকট্রনিক মিডিয়া সর্বত্র এখন নারীরই জয় জয়কার। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন কাজ করছেন মেয়েরা। নারী রিপোর্টারের সংখ্যা এখন অনেক। মিডিয়ায় ব্যতিক্রমী দায়িত্ব পালনেও নারীর অংশগ্রহণ বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। দেশের টেলিভিশন মাধ্যমে কৃষি এখন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। এদেশে যার সূত্রপাত করেছিলেন কৃষি উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। বিটিভিতে মাটি ও মানুষ, পরবর্তীতে চ্যানেল আইতে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষককে মর্যাদার আসনে দাঁড় করিয়েছেন। কৃষি সংবাদকে এনেছেন জাতীয় সংবাদের মর্যাদায়। তারই আন্তরিকতায় চ্যানেল আইতে প্রতিদিন বিকেলে শুধু কৃষির ওপর ৮ মিনিটের বুলেটিন প্রচার হয়। এর ধারাবাহিকতায় অন্যান্য টেলিভিশনেও কৃষিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে চ্যানেল আই পথিকৃৎ। পাশাপাশি আরো একটি বিষয়ে চ্যানেল আই এক্ষেত্রে পাইওনিয়ার হয়ে থাকবে তাহলো চ্যানেল আই-এর কৃষি বিষয়ক প্রতিদিনের এই বুলেটিনের দায়িত্বে রয়েছেন একজন নারী সাংবাদিক। যা এই দেশের টেলিভিশন জগতেও প্রথম। মেধাবী এই সাংবাদিকের নাম সুদীপ্তা মাহমুদ। তিনি চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজরুম এডিটর। তার মূল দায়িত্ব প্রতিদিন-এর কৃষি বিষয়ক বুলেটিন তৈরি করা।
কথা হলো সুদীপ্তার সঙ্গে। প্রসঙ্গ তুলতেই বিনয়ের সঙ্গে বললেন, কাজটি কিন্তু আমি একা করি না। সবাই মিলে করি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের মূল অনুপ্রেরণা চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
সুদীপ্তা বলেন, চ্যানেল আইতে প্রতিদিন বিকেলে জনপদের খবরের পাশাপাশি কৃষি বিষয়ক বুলেটিন প্রচার হয়। হঠাৎই একদিন কৃষি বুলেটিন-এর দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। প্রতিদিন ৮ মিনিটের বুলেটিন তৈরি করা সহজ কাজ নয়। তাই প্রথম প্রথম খুউব টেনশনে থাকতাম। কিন্তু অফিসের সহকর্মীদের সহযোগিতা আমাকে প্রতিদিন সাহস যুগিয়েছে। বিশেষ করে বার্তা সম্পাদক আদিত্য শাহীনের আন্তরিক পরামর্শ ও সহযোগিতায় কাজটি এখন অনেক সহজ মনে হয়।
কৃষির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের নিউজ নিয়ে প্রতিদিন বুলেটিন তৈরি করেন। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কেমন? প্রশ্নের জবাবে সুদীপ্তা বলেন, শুধু কৃষি নয়, যে কোনো সেক্টরেই কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ আছে। তবে কাজটির প্রতি ভালোবাসাই হলো আসল। চ্যানেল আই-এর কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আমাদের এই বুলেটিনকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সারাদেশে আমাদের চ্যানেল আই-এর রিপোর্টার ও প্রতিনিধিরা এক্ষেত্রে বেশ তৎপর। তারা প্রতিদিন কৃষি বিষয়ক রিপোর্ট অথবা প্রতিবেদন পাঠান। এই সব রিপোর্ট নিয়ে আমরা বুলেটিন তৈরি করি। কাজটির মধ্যে বেশ আনন্দও আছে। অনেক সময় বুলেটিন প্রচারের পর পরই কারো কারো ফোন পাই। মানুষের ভালো লাগার কথা জানলে আনন্দে বুক ভরে যায়।
একজন নারী হিসেবে কি বাড়তি চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন? প্রশ্ন করতেই স্বভাবসুলভ জবাব দিলেন সুদীপ্তা- না, মোটেই না। চ্যানেল আইতে আমরা সকলে একটা পরিবারের মতো যার যার দায়িত্ব পালন করি। কাজেই কোনো চ্যালেঞ্জ নাই। বরং আনন্দ আছে।
প্রতিনিয়ত অভিনয় শেখার চেষ্টা করছি
ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তরুণ অভিনেতা ওয়াহিদ ইকবাল মার্শাল। তার অভিনীত সাতটি ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এছাড়া তিনি নতুন কিছু ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটকের শুটিং করছেন নিয়মিত। কথা হলো মার্শালের সঙ্গে-
আনন্দ আলো: এখন কী নিয়ে ব্যস্ত?
মার্শাল: আমার অভিনীত বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এরমধ্যে রয়েছে ‘আস্থা’ (এনটিভি), ‘আগুন আল্পনা’ (চ্যানেল নাইন), ‘হাউজওয়াইভ’ (মাছারাঙা), ‘টক্কর’ (বাংলাভিশন), ‘পরম্পরা’ (এসএটিভি), ‘আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন’ (এটিএন বাংলা) এবং ‘নোয়াশাল’ (আরটিভি)। এই সাতটি ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও সৌম্য নজরুলের নতুন ধারাবাহিক ‘মহল্লা বিডি ডটকম’-এর কাজ নিয়েও ব্যস্ত রয়েছি।
আনন্দ আলো: খণ্ড নাটকে কাজ করা হয় না?
মার্শাল: সম্প্রতি মাহমুদ মাহিন পরিচালিত ‘ভাবান্তর’ নামে একটি খণ্ড নাটকে কাজ করেছি। খুবই সুন্দর একটি গল্প। এতে আরো অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মাজনুন মিজান, ফারহানা মিলি, শিরিন বকুল ও কাজী উজ্জল। এছাড়াও ‘উৎসর্গ’ ও ‘ফাঁদ’ শিরোনামের আরো দুটি খণ্ড নাটকে কাজ করেছি।
আনন্দ আলো: আপনার শুরুর কথাটা বলবেন-
মার্শাল: অভিনয়ে আমার শুরুটা ২০০৭ সালে। দৃষ্টিপাত নাট্যদলের নিয়মিত একজন সদস্য ছিলাম। এরপর ২০১১ সালে টিভি নাটকে প্রথম কাজ করি। ফেরদৌস হাসানের ‘শুভদৃষ্টি’ নাটকের মাধ্যমে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করি। নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হয়। এরপর একে একে অভিনয় করি ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’, ‘স্রাট’সহ আরো অনেকগুলো নাটক।
আনন্দ আলো: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মার্শাল: একজন অভিনেতা হওয়া। সেই পথেই হেঁটে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত অভিনয় শেখার চেষ্টা করছি। ভালো কিছু কাজ মানুষকে উপহার দিতে চাই। আমি হিরো হতে চাই না। একজন অভিনেতা হিসেবে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পেতে চাই।