Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

দর্শক যতদিন গ্রহণ করবেন ততদিন তাদের সাথে থাকব : মতিউর রহমান চৌধুরী

রাত দুপুরে টেলিভিশনের পর্দায় সংবাদপত্র বিষয়ক অনুষ্ঠান আদৌ কি দর্শক দেখবে? তাছাড়া এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান করতে অনেক ঝামেলা। গভীর রাতে জোগাড় করা যাবে কী দৈনিক পত্রিকা? আসবেন কী অতিথিরা? এরকম অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা সত্তে¡ও আজ থেকে ১১ বছর আগে চ্যানেল আইতে শুরু হয় দেশের টিভি মিডিয়ায় সংবাদপত্র বিষয়ক প্রথম টিভি অনুষ্ঠান ‘গ্রামীণ ফোন আজকের সংপাদপত্র’। শুরু থেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী। আসুন তার মুখেই শুনি অনুষ্ঠানটির জানা-অজানা কিছু গল্প।

আনন্দ আলো: সংবাদপত্র নিয়ে গভীর রাতে অনুষ্ঠান করার ভাবনা কিভাবে এলো? শুরুর দিকের কিছু স্মৃতির কথা শুনতে চাই।

মতিউর রহমান: ভাবনাটা সরাসরি আমার নয়। সত্য কথা বলতে কী চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে দুবাই যাচ্ছিলাম। আকাশে বিমান যখন মাঝপথে তখন আড্ডারস্থলে প্রস্তাবটি এলো চ্যানেল আইয়ের অন্যতম কর্ণধার ফরিদুর রেজা সাগরের কাছ থেকে। প্রিয় এই মানুষটার মাথায় নতুন নতুন ধারণা সবসময় কিলবিল করে। তিনি জানতে চাইলেন- রাত ১২টায় সংবাদপত্র নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করা যায় কিনা? শুনে অবাকই হলাম। রাত ১২টায় কী করে সম্ভব? অনুষ্ঠানে কথা বলবেন এমনÐ অতিথি পাবো কোথায়? ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে হয়তো অতিথি পাওয়া যাবে। কিন্তু মূল সমস্যা হবে পত্রিকা নিয়ে। গভীর রাতে কে পত্রিকা পাঠাবে? নাছোড়বান্দা সাগর। এক মুহূর্তও সময় দিতে নারাজ। ২০০৫-এর জুলাই মাসের শেষ দিকটার কথা বলছি। বলা সহজ। কিন্তু উপস্থাপনা করা বড় কঠিন। তাও আবার কাজটা করতে হবে প্রতি রাতে। সরাসরি অনুষ্ঠান। ঝুঁকি একশত ভাগ। তবুও রাজি হয়ে গেলাম কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই।  দুবাইয়ের প্রোগ্রাম শেষে ঢাকা ফিরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আর ভাবছি কথাতো দিয়েছি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে কী? আমিরুল আর কাজল সঙ্গী। তারা সহযোগিতা করবে। পত্রিকা সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বললাম। বেশির ভাগই পত্রিকা পাঠাতে রাজি নন। তাদের যুক্তি পাঠক আগেভাগেই শিরোনাম জেনে যাবে। এতে করে পত্রিকার কাটতি কমে যেতে পারে। কেউ কেউ বললেন, পত্রিকা পাঠাবেন কী করে? বিকল্প প্রস্তাব মাথায় ছিল। বললাম- আমরা পত্রিকা আনার ব্যবস্থা করবো। এই শর্তে রাজি হলেন অনেকেই। তবে কিছু কাগজের আপত্তি জারি থাকলো। বিশেষ দিবস ছাড়া অনেকেই কাগজ দিতে চান না। যদিও এটা কোন যুক্তি নয়। পত্রিকার প্রথম সংস্করণ বের হওয়ার পর মতিঝিলে কিংবা সায়েদাবাদে তরতাজা কাগজ বারোটার আগেই পাওয়া যায়। মোটর সাইকেলে করে কাগজ আনার ব্যবস্থা হলো। সার্বক্ষণিক তদারকিতে ফরিদুর রেজা সাগর এবং শাইখ সিরাজ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, বিষয়টি নিয়ে শাইখ সিরাজ গোড়া থেকেই যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। তার সমর্থন দরকার ছিল। কারণ তিনি চ্যানেলটির বার্তা প্রধান। খবর নিয়ে অনুষ্ঠান তাকে ছাড়া কি করে হয়? চ্যানেল আই-এর সিদ্ধেশ্বরী স্টুডিও। সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। তার মধ্যেই অনুষ্ঠান করতে হবে। প্রমো গেল কয়েকদিন। ব্যাপক সাড়া চারদিকে। কিন্তু আমি রীতিমতো ভয়ে কাঁপছি। কেমন করবো? দর্শকরা কিভাবে নেবেন? বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে। অনুষ্ঠান নিয়ে দিন-তারিখ ঠিক হলো। ৫ আগস্ট, শুক্রবার ২০০৫ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হবে। সন্ধ্যা থেকেই টেনশন। সহকর্মী কাজল বলছে, আমাদের মোটর সাইকেল তৈরি। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। প্রথম দিনের অতিথি সাইফুল আলম। যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুলের কাছে এজন্য বিশেষভাবে ঋণী। সে রাতে সাইফুল তার যোগ্যতা-মেধা দিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য করেছিলেন। দর্শকরা প্রথম রাতেই অনুষ্ঠানটি গ্রহণ করেছিল যা টিভি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সচরাচর ঘটে না।  এক দশক পরেও মনে হয় দর্শকরাই এই অনুষ্ঠানের মূল শক্তি। সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে খেলার জগতের তারকারাও এসেছেন এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে। প্রয়াত মূসা ভাই, বজলু ভাই, মাহবুব ভাইয়ের নাম উলে­খ করতেই হচ্ছে। তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। দেশ-জাতি শুনেছে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান বিশ্লেষণ। বিদেশী সাংবাদিকরাও যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।  যারা পত্রিকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এখনো করছেন তাদের কাছে বিশেষভাবে ঋণী। তাদের সহযোগিতা না পেলে হয়তো এই পরিকল্পনা আঁতুড়ঘরেই মারা যেত। মাত্র ১৬ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান তাও আবার মাঝরাতে, ভাবা যায়? জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে বিচার করলে কোথায় আছে তা দর্শকরা ভাল বলতে পারবেন। গ্রামীণফোনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তাদের সহযোগিতা না পেলে এতদূর আসা যেত না। অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও তারা স্থির ছিলেন। নীতিগত অবস্থান থেকে একচুলও নড়েননি। পর্দার আড়ালে যারা কাজ করেছেন বা করছেন তাদের নাম এখানে বলতেই হচ্ছে। রাজু, হালিম, দেলোয়ার, মিজান, উজ্জ্বল, এমদাদ, সেলিম, আসলাম, পলাশ, দেলোয়ার, দুলাল, জয়, কবীর, খোকন, সাজ্জাদ নিত্যদিনের সঙ্গী। বলতে গেলে এদের সবার পরিশ্রমের ফসল গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র।

আনন্দ আলো: বছরের পর বছর ধরে একই অনুষ্ঠান করছেন। রাতে হাজির হতে হয় টিভির সামনে। একঘেয়েমি লাগে না?

04_1মতিউর রহমান: একদম একঘেয়েমি লাগে না একথা বলা বোধকরি ঠিক হবে না। তবে মজাও পাই। মূসা ভাই বলতেন, ৫০ বছর সাংবাদিকতা করলাম। ক’জন চিনতো? মতির অনুষ্ঠানে এসে আমি তারকা খ্যাতি পেয়েছি। আমার নিজের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই। প্রতিদিন যেহেতু নতুন নতুন খবর নিয়ে হাজির হই তখন নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। অনেক শিরোনাম শিহরিত করে। আনন্দ দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অবশ্য কষ্ট পাই।

আনন্দ আলো: মূলত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের লোকজনই আপনার অনুষ্ঠানে আসে। দিনের গুরুত্বপূর্ণ খবর নিয়ে আলোচনা করেন। কোনো অতিথিকে নিয়ে কখনও বিব্রত হয়েছিলেন? অথবা বিব্রত হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছিল?

04_2মতিউর রহমান: অনুষ্ঠানে আগত অতিথিকে নিয়ে বিব্রত হওয়ার মতো ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। প্রয়াত মূসা ভাই একদিন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। এতে কিছুটা যে বিব্রত হইনি তা নয়। শিরোনাম পাঠ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টেনেছি। হঠাৎ দেখি মূসা ভাই আমার সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে। বললেন, সরি মতি, বয়স হয়েছে তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বিনীতভাবে বললামÐ মূসা ভাই এটা হতেই পারে। তিনি তা মানতে নারাজ। নিজেই নিজেকে অপরাধী ভেবে বলতে লাগলেনÐ এমন কেন হলো? কোনদিন তো হয় না। তুই আমাকে কালই আরেকটা সুযোগ দে। যথারীতি তাই করলাম। পরদিন শোতে এসে প্রথমে দুই মিনিট দর্শকের কাছে ক্ষমা চাইলেন। দুঃখ প্রকাশ করলেন। এটা তিনি না করলেও পারতেন। এই বয়সের একজন মানুষ এতো রাতে যে অনুষ্ঠানে আসতেন একথা আমি এখনও অবাক বিস্ময়ে ভাবি। এটা কি করে সম্ভব মূসা ভাই বলতেন, মতি তুই আমাকে ডুবিয়েছিস। বাড়ি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসি বেশি কিছু বলবো না। কিন্তু অতিথির চেয়ারে বসে আর নিজেকে সামলাতে পারি না। এজন্য কত মূল্য দিতে হয়। একটা টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য আবেদন করেছিলাম। পেলাম না সম্ভবত এজন্য।  মূসা ভাইয়ের ঋণ শোধ করবার মতো নয়। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সাহস-শক্তি ছিলেন তিনি। বিবিসির কাদির কলে­াল একদিন রাত সাড়ে এগারোটার সময় আসতে পারবেন না বলে জানালেন। সহকর্মী কাজল ঘোষ যখন জানালো তখন রীতিমতো আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়েছে। শো শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। ঢাকা শহর যানজটে রাতে-দিনে কাবু থাকে। কি উপায়? হঠাৎ কাজলেরই মনে হলো ইকবাল ভাইকে বলা যেতে পারে। অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী তখন থাকতেন সিদ্ধেশ্বরীতে। কয়েক মিনিটের রাস্তা। ইকবাল ভাই রাজি হয়ে গেলেন। কোন মতে একটি পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে তিনি হাঁফাতে হাঁফাতে এলেন। তবু রক্ষা। সে রাতে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে পেরেছিলাম। দর্শকরা টের পায়নি। এটা হচ্ছে অন্তরের কথা। এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। যানজটে আটকে আমি নিজেও অন্তত তিন দিন অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারিনি। অতিথিদের নিয়ে বলতে গেলে কিছু বেদনাদায়ক ঘটনাও রয়েছে। কাকে আনা যাবে কাকে আনা যাবে না তা নিয়ে অনেকবার বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। মূসা ভাইকে একদিন না বলতে গিয়ে রাতভর ছটফট করেছি।  আরেকটি ঘটনা এখনো আমাকে কষ্ট দেয়। সংবাদ সম্পাদক বজলু ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি যখন অনুষ্ঠান চলাকালে টেবিলে আসে তখন হাত পা কাঁপছিল। আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত সে রাতের অতিথি। তিনি স্মৃতিচারণ করলেন। আমি তো বজলু ভাইয়ের অধীনে সংবাদে চাকরি করেছি। অনুষ্ঠান শেষে ছুটলাম হাসপাতালে। কষ্ট পেয়েছিলাম এই ভেবে মাত্র দু’দিন আগে বজলু ভাই আমাদের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তরতাজা স্মৃতি। কিন্তু বলতে পারলাম না। নিজের অবস্থা একটু বলি। জরুরি জমানায় সেনা শাসকদের আতঙ্ক ছিল এই অনুষ্ঠানটি। অতিথি কালো তালিকাভুক্ত করেও স্বস্তিতে নেই তারা। এক সকালে ফোন এলো গোয়েন্দা দপ্তর থেকে। এবার অতিথি নয়, খোদ উপস্থাপককেও বাদ দিতে হবে। উপস্থাপকের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ? তিনি নাকি উসকে দেন। এরপর অতিথিরা বাকি কাজটা সেরে ফেলেন। ফরিদুর রেজা সাগর আর শাইখ সিরাজ দু’জনই আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। অনুষ্ঠান করার সুবাদে নয়। অনেক আগে থেকেই। কি করে তারা আমাকে বলবেন গুডবাই। একদিন সকালে অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময় দু’জনই হাজির। এ কথা সে কথা। কি যেন বলতে গিয়েও বলতে চাচ্ছেন না। জিজ্ঞেস করলাম কোন সমস্যা? হ্যাঁ, সমস্যা তো বটেই। বুঝতে পারছি আমাকে বাদ দিতে হবে? মতি ভাই, আমরা তো আপনাকে কোনদিন না বলতে পারবো না। বুঝতেই তো পারছেন। বললাম, আগে চ্যানেল বাঁচাতে হবে। পরে অন্য কথা। আমার কোন অসুবিধা নেই। দু’জনের চেহারা দেখে মনে হলো তাদের জীবন থেকে কিছু একটা হারিয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের কি হবে? দু’জনই বললেন, আপাতত বন্ধ থাকুক। এখানেই শেষ নয়। দিনভর অনেক নাটকীয়তা। ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ কি হার মানার মানুষ। তারা যোগাযোগের সব নেটওয়ার্ক চালু রাখলেন। সন্ধ্যার দিকে আশার আলো জাগলো। রাত আটটায় ফোন এলো অনুষ্ঠান হবে। আমিও থাকছি। তাই হলো। এ রকম পরিস্থিতি আর কখনো হয়নি। তবে প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। এ ক্ষেত্রে সাগর-সিরাজ ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় কাজ করছেন। অনেক ঝড় তুফান আসে। আমি খুব একটা টের পাই না। দু’জনই সেটা সামলান।

আনন্দ আলো: সংবাদপত্র নিয়ে প্রায় প্রতিটি চ্যানেলে এখন অনুষ্ঠান হচ্ছে। আপনার অনুষ্ঠানের সঙ্গে পার্থক্য কি?

02_3মতিউর রহমান: পার্থক্য খুঁজবেন অগনিত দর্শক। একান্তই যদি বলতে হয়, তাহলে বলবো আমি অতিথিদের কথা শুনি। নিজে কোন মতামত দিই না। তবে এটা বলবো, নতুন কোন ধারণা নিয়ে অনুষ্ঠান করাই ভাল। কারও অবিকল ধারণা না নেয়াই শ্রেয়।

আনন্দ আলো: কতদূর যেতে চান?

মতিউর রহমান: কঠিন প্রশ্ন। দর্শকরা যতদিন গ্রহণ করবেন ততদিন তাদের সঙ্গে থাকবো। তবে দর্শকদের আরও ভাল কিছু উপহার দেয়ার স্বপ্ন দেখি।  অনুষ্ঠানটি সবার কাছেই সমাদৃত -সিকদার আখতার উজ-জামান হেড অব মিডিয়া মার্কেটিং কর্মাশিয়াল ডিভিশন, গ্রামীণফোন  চ্যানেল আইতে সংবাদপত্র বিষয়ক রাতের অনুষ্ঠান ‘গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্রম্ব একটি যৌথ পদক্ষেপ যা সকলের কাছেই সমাদৃত হয়ে আসছে। সাধারণ মানুষ সবার আগে সঠিক তথ্য পাবার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে। শুধু সংবাদে তাদের আগ্রহ মিটে না। তারা বিস্তারিত জানতে চায়। একথা ভেবেই চ্যানেল আইতে মধ্যরাতে প্রতিদিনের সংবাদপত্র নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী এই অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু। টিভি দর্শককে এখন আর পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। তারা গভীর রাতেই বিশ্লেষণসহ প্রধান সবগুলো জানতে ও বুঝতে পারে। চ্যানেল আই এর এই প্রগতিশীল উদ্যোগকে এখন অন্যান্য টিভি চ্যানেল মাইলফলক ভেবে তা অনুসরণ করে আসছে। গ্রামীণফোন সব সময় এই প্রকার প্রগতিশীল উদ্যোগকে পৃষ্টপোষকতা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।  গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় চ্যানেল আই এর নিয়মিত আয়োজন ‘গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র’ প্রতিদিন রাত ১২টা ১মিনিটে শুরু হয়ে চলে ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটির প্রযোজক কাজল ঘোষ।