Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তানজিনার টার্গেট বড় পর্দা

মোহাম্মদ তারেক:  চঞ্চল প্রজাপতির মতো ডানা মেলে কেউ কেউ উড়তে চায় তারার আকাশে। কেউবা স্বপ্নের ভেলায় চড়ে ভেসে যেতে চান দূরের পজেটিভ গন্তব্যে। কেউবা হতে চায় লাখো মানুষের স্বপ্নকন্যা। হতে চায় মিডিয়াকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আর এ স্বপ্নকে পুঁজি করেই বেঁচে থাকা এবং নিরন্তর পথচলা। তেমনি এক স্বপ্নবাজ চপলা চঞ্চলা তরুণী তানজিন তিশা। মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত সুন্দরী একটি মেয়ে। সাবলীল অভিনয় শৈলীর কারণে তানজিন তিশা এ প্রজন্মের একজন প্রতিশ্রুতিশীল মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় নিয়েও ভীষণ ব্যস্ত আছেন। এরই মধ্যে তানজিন তিশা মডেলিং জগতে খুব অল্প সময়ে কিছু ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ব্যক্তি হিসেবে তানজিন তিশা একটু ভিন্ন। ভীষণ আড্ডাবাজ। চঞ্চল প্রকৃতির। সহজেই সবার সাথে মিশতে পারেন, কথা বলতে পছন্দ করেন। মিষ্টি হাসি এবং প্রাণবন্ত কথার তোড়ে মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। কাজে খুব সিরিয়াস এবং সিনসিয়ারিটি মেনটেইন করেন। তিশার মধ্যে অভিনয়ের বীজটা ছোটবেলায় রোপন হয়েছিল। স্কুল জীবন থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে তিনি যুক্ত। নাচ ও অভিনয়ের প্রতিটি মাধ্যমেই পারদর্শী ছিলেন। হিন্দোল একাডেমি ও বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে চার বছর নাচের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন নাটকে অভিনয় করবেন কিংবা বিজ্ঞাপনের মডেল হবেন। স্বপ্নটা শেষমেশ সফল হয়েছে। হয়েছেন একজন মডেল ও অভিনেত্রী। মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু হয়েছিল ম্যাগাজিনের মডেল হিসেবে। ডাক পেলেন ক্যাটস আই এর। ব্যস শুরু হলো যাত্রা। তারপর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, পোলার আইসক্রীমসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিলবোর্ডের মডেল হয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজার রবির বিজ্ঞাপনটি ছিল তানজিন তিশার জন্য টার্নিং পয়েন্ট। এই বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে সবাই তানজিন তিশাকে চিনতে শুরু করে। দুই বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। রবির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দর্শক পরিচিতি অনেক বেড়ে যায়। একের পর এক বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন তিনি। তার অভিনীত বিজ্ঞাপনগুলো হচ্ছে রাঙাপরী বডি লেশন, ফিনলে চা, প্যারাসুট তেল, সিম্ফনী মোবাইল ফোন, ফ্রেশ পানী, সোহনা এলিট টিভি ইত্যাদি। বর্তমানে তানজিন তিশার সবগুলো বিজ্ঞাপনই প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। শুরুতে মেয়ের মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে আপত্তি করলেও বাবা এখন মেয়ের প্রশংসা করেন। বড় বড় বিলবোর্ডে মেয়ের ছবি দেখে মুগ্ধ হন। অজান্তেই মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে ওই তো আমার মেয়ের ছবি। বেশ অল্প সময়ের মধ্যে মডেলিং জগতে আলোচনায় চলে এসেছেন তানজিন তিশা। এদিকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে দর্শক মহলে প্রশংসিত হওয়ায় তানজিন তিশা অভিনয়ও করছেন নিয়মিত। মডেল তানজিন তিশা অভিনয় জগতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। রেদওয়ান রনির ‘ইউটার্ন’ নাটকের মধ্য দিয়ে। এই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের কাছে তার গ্রহণযোগ্যও বেড়ে যায়। তখন থেকে একের পর এক নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার অভিনীত নাটক গুলো হচ্ছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘আপন কথা’ ও ‘সুর-তাল-লয়’ এজাজ মুন্নার ‘সুন্দর অসন্দুর স্মার্ট’ এস এ হক অলীকের ‘কোরবান আলীর কোরবাণী’ ইত্যাদি। যতই দিন যাচ্ছে অভিনয়ে ততই নিজেকে পরিপক্ক করে তুলছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনা করছেন আর টিভির ‘শপার্স গাইড’ ও মাছরাঙার ‘রূপকথা’র অনুষ্ঠানে। এছাড়া তিশা মিউজিক ভিডিও করে যাচ্ছেন নিয়মিত। রিজভীর ‘চোখেরই পলকে’, ইমরানের ‘শেষ সূচনা’, ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ সহ কিছু মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে। দর্শকের কাছ থেকে পেয়েছেন অনেক প্রশংসা। নাচ, মডেলিং, উপস্থাপনা, অভিনয় করলেও বড় পর্দায় কাজ করার লক্ষ নিয়ে মূলত তিনি এগিয়ে চলেছেন। তানজিন তিশা বলেন, বিজ্ঞাপনে মডেলিং হয়েছি। উপস্থাপনা, নাটকও করছি। তবে আমার মূল্য লক্ষ বড় পর্দা। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। বড় পর্দায় কাজ করতে চাই। তবে ভালো গল্পের ছবিতে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। প্রস্তাব পেলে অবশ্যই সিনেমায় অভিনয় করব।