Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর!

আপনি কি বয়সে তরুণ? আপনি কি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা? আপনার উদ্ভাবনী শক্তি এবং মেধার বিকাশ ঘটাতে চান? তাহলে চটজলদি যোগাযোগ করুন স্পার্ক ইন্টারন্যাশনাল এবং বিল্ড বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগ স্পার্ক বাংলাদেশ এর সঙ্গে। স্পার্ক ইন্টারন্যাশনাল ও বিল্ড বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা অন্যদেশের তুলনায় অনেক মেধাবী। শুধু সুযোগ ও প্রেরণার অভাবে তাদের অনেকে মেধার প্রকৃত বিকাশ ঘটাতে পারে না। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে স্পার্ক ইন্টারন্যাশনাল ও বিল্ড বাংলাদেশ এই বছর তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য অ্যাকসিলারেটর প্রোগ্রামের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় সারাদেশ থেকে ১২ জন উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তাকে খুঁজে বের করা হবে। বিশ্বমানের ফ্যাসিলিটেটরদের দ্বারা একটানা পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে তাদেরকে এক বছরের একটি বড় কর্মসূচির আওতায় যুক্ত করা হবে। এই সময়ে তারা নিজ নিজ ব্যবসার ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের মূলধনের পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগিতা পাবেন। যারা এই কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক সাফল্যের আলো ফেলতে পারবেন তাদেরকে প্রয়োজনে বৃহৎ অর্থায়ন ও বিনিয়োগের জন্য আনৱর্জাতিক বিনিয়োগকারী, গ্লোবাল অরগানাইজেশন এবং স্ট্যাটেজিক পার্টনারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয়া হবে।

Spark-1চলতি বছরের ২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যনৱ প্রথম স্পার্ক বাংলাদেশ অ্যাকসিলারেটরের আওতায় ১২ জন তরুণ উদ্যোক্তা সম্ভাবনার আলো ফেলেছেন। তাদের মধ্যে ‘সুরক্ষা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দেবজিৎ সাহা গ্রামাঞ্চলে স্বল্পমূল্যে সেনেটারী ন্যাপকিন সরবরাহ করছেন। ‘চেঞ্জ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ ইকবাল স্বল্পমূল্যে সৌরবাতি সরবরাহ করেন। ক্রিটিকালিংক-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা রাহাত হোসেন দুর্ঘটনা পিড়ীত অসহায় মানুষকে সহায়তা করেন। ‘লাইট অবহোপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালী উল্লাহ ভুঁইয়া স্কুলে স্কুলে লাইব্রেরি ও ডিজিটাল ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে আসছেন। ট্রেইনডবিডির সহপ্রতিষ্ঠাতা সামিরা রহমান পোশাক শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও চাকরি খুঁজে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছেন। ‘এমিলিস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্বাস্থ্য সম্মতভাবে সবজি ও আচার উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছেন।

সম্পর্কিত

স্পার্ক বাংলাদেশ অ্যাকসিলারেটরের কর্মসূচির প্রভাবে তারা সকলেই তাদের ব্যবসাকে বড় পরিসরে নেয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।

যারা দ্বিতীয় স্পার্ক বাংলাদেশ অ্যাকসিলারেটর প্রোগ্রামে যুক্ত হতে চান তারা ১ সেপ্টেম্বরের ২০১৬ এর মধ্যে আবেদন করুন- http://www.sparkinternational.org/spark-bangladesh/