Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কবরীর সিনেমাটিক সিরিজ

জাকীর হাসান: আমাদের চলচ্চিত্রের একজন নায়িকা আছেন যাকে মিষ্টি মেয়ে বলা হয়।  যিনি সত্যিকার অর্থেই আমাদের চলচ্চিত্রে মিষ্টি আভা ছড়িয়েছেন অভিনয়ের মাধ্যমে।  তার অভিনীত অসংখ্য ছবি এখন কালজয়ী।  বিশেষ করে চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে তার অভিনীত ছবি গুলো এখনো দর্শকদের হৃদয়স্পর্শ করে।  এই মিষ্টি মেয়ে ১৯৬৪ সালে স্বনামধন্য নির্মাতা অভিনেতা সুভাষ দত্তের হাত ধরে আমাদের চলচ্চিত্রকে আলোকিত করেন সুতরাং ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে।  এ বছর মিষ্টি মেয়ে অভিনয় জীবনের ৫১ বছরে পদার্পন করলেন।  এই পাঁচ দশকে তিনি শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ই করেননি পরিচালনা, প্রযোজাও করেছেন।  অভিনয় করেছেন ছোট পর্দা অর্থাৎ টিভি নাটকেও।  পর্দার তারকা ইমেজের ব্যাপক পরিচিতি তাকে এক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনেও সক্রিয় করে তোলে।  এই মিষ্টি মেয়ে সবার প্রিয় অভিনেত্রী কবরী।অসাধারণ মিষ্টি মুখায়বয়ব, নির্মল হাসি, লাজুক চেহারার জন্য তাকে মিষ্টি মেয়ে উপাধি দিয়েছিলেন অধুনালুপ্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সাপ্তাহিক চিত্রালীর তদানিন্তন সম্পাদক, গীতিকার, কাহিনীকার বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী।

কবরী এদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম এক ভার্সাটাইল অভিনেত্রী।  তিনি যে কোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতেন।  তিনি যেমন সারেং বৌ এর মতো বাস্তব ও জীবন ঘনিষ্ঠ ছবিতে অভিনয় করে সফল হয়েছেন তেমনি রংবাজের মতো শহর কেন্দ্রিক ছবির আধুনিক চরিত্রেও উজ্জ্বলতর ছিলেন।  তিনি শুধুমাত্র নায়িকার সীমারেখায় আবদ্ধ ছিলেন না চরিত্র রাপায়নে হয়ে উঠেছিলেন ক্যারেক্টার আর্টিষ্ট হিসেবে।  তার অভিনয়ে পরিমিতিবোধ, শান্ত, স্নীগ্ধ এবং আবহমান বাংলার নারীর প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে সব সময়।  অভিনয়ে মিডিয়ার বাছ বিচার ও বিভাজনে বিশ্বাসী নন তিনি।  ষাট দশকের তারকা হয়েও তিনি বর্তমান সময়ের আধুনিক চিন্তা চেতনার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে চলেন।  চলচ্চিত্রের বিশাল ইমেজের অভিনেত্রী হয়েও টিভি নাটকে অভিনয় করতে তার কোনো সমস্যা হয়না বরং আনন্দ নিয়ে টিভি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। সম্প্রতি কবরী একটি ফিল্মম্যাটিক টিভি সিরিজ নির্মাণ করেছেন তার নাম ‘আবার আসিব ফিরে’।  সিরিজটি প্রচার হবে চ্যানেল আইতে।  সিরিজের গল্প কাহিনী স্ক্রীপ্ট ও পরিচালনা নিজেই করেছেন।  শুধু তাই নয় একটি গুর“ত্বপুর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন।  এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো টিভি নাটকে দেখা যাবে চলচ্চিত্রের ড্যাসিং হিরো, অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানাকে।  এই টিভি সিরিজে যারা অভিনয় করেছেন তাদের বেশির ভাগই চলচ্চিত্র মাধ্যমের শিল্পী কলাকুশলী।  কিছু দিন আগে উত্তরার একটি শূটিং হাউজে আবার আসিব ফিরে’র শুটিং হচ্ছিল।  শূটিং এর ফাঁকে বিশিষ্ট এই অভিনেত্রী ও নির্মাতার সঙ্গে কথা হয় আনন্দ আলোর।  টিভি নাটক ছাড়াও তিনি কথা বলেন তার সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ভাবনা, রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে।  আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য তারই চুম্বক অংশ।

Kobori-2নাটক নয় এটিকে সিনেমাই মনে হবে

Kobori-3আমি মূলত চলচ্চিত্রে কাজ করতেই বেশি স্বাছন্দবোধ করি।  সেই সঙ্গে আমি এত্ত মনে করি একজন শিল্পীর মিডিয়ার সব শাখায় কাজ করার অভিজ্ঞতা বা স্বাদ নেয়া প্রয়োজন।  অনেক সময় টিভি নাটকের চমক হিসেবে চলচ্চিত্র তারকারা ও মাধ্যমে কাজ করেন।  কেউ আবার ইচ্ছে থাকা সত্বেও এ মাধ্যমে কাজ করেন না।  এটা যার যার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।  আমি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি নাটকে।  আমার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অধ্যাপক মমতাজ উদদীন স্যার।  নাটকটি নির্মাণও আমি করেছিলাম।  এটি প্রচার হয়েছে চ্যানেল আইতে।  এ নাটকটি নির্মাণে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন প্রয়াত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজর“ল ইসলাম।  এ নাটকের গল্পটি খুবই ইমোশনাল ছিল।  নাটকের শিল্পীরা চমৎকার অভিনয় করেছিলেন।  স্ক্রীপ্টটি করেছিলেন মমতাজ স্যার নিজে।  এর পর আমি অভিনয় করি কথা সাহিত্যিক নাসরিন জাহানের একটি নাটকে।  এ নাটকের গল্প ও কাহিনী নাসরিন জাহানের স্ক্রীপ্ট ও ডায়ালগ লিখেছিলাম আমি।  নাটকটি প্রচার হয়েছে বিটিভিতে।  এরপর এই প্রথম একটি সিরিজ শুর“ করলাম।  যার নাম আবার আসিব ফিরে।  এটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।
এই সিরিজ নির্মানের শুর“র গল্পটা বলি।  চ্যানেল আই কতর্ৃপ¶ বিশেষ করে ফরিদুর রেজা সাগর আমাকে একটি সিরিজ নাটক নির্মাণ করার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন।  তার চাওয়া ছিল আমি যেন ব্যতিক্রমধর্মী একটি নাটক নির্মান করি সেটা যেন কোনোভাবেই প্রথাগত না হয়।  টিভি নাটক হলেও এর ধরন যেন হয় ফিল্মম্যার্টিক।  শিল্পী কলাকুশলীরা বেশির ভাগ হবেন ফিল্মের।  দর্শকরা টিভি পর্দায় দেখে যেন ফিল্মের স্বাদ পায়।  প্রস্তাবটা আমার দার“ন লেগেছিল।  এর মধ্যে একটা চমক আছে, নতুনত্ব আছে।  চ্যানেল আই এর প্রস্তাব মতো একেবারে চলচ্চিত্রের মতো করে কাজ করেছি।  সত্যিকারে এটি দেখে দর্শকরা একবারও নাটক মনে করবেন না।  এটিকে সিনেমাই মনে হবে।  এটি ১৩ পর্বে প্রচার হবে।  এর গল্প, কাহিনীও স্ক্রীপ্ট আমি নিজে লিখেছি।  পরিচালনাও নিজে করছি।  একটি গর“ত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেছি।  এই সিরিজের এতো কাজ একসঙ্গে করার কারণ হলো এটি একটি নতুন ধারনার ড্রামা, নতুন কনসেন্টের একটি সিরিজ।  এর কনসেপ্ট একান্তই আমার।  যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য আমি একসঙ্গে অনেক গুলো কাজ নিজেই করছি।  এতে, নায়ক সোহলেরানা ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন রিয়াজ, কে এস ফিরোজ, অহনা সহ চলচ্চিত্র ও টিভির বেশ ক’জন শিল্পী।  ক্যামেরায় কাজ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ক্যামেরাম্যান জেড এইচ মিন্টু।

Kobori-4সিরিজটি শুর“ করার সময় আমাকে অনেকেই বলেছেন আগামীতে নিয়মিত নাটক নির্মান এবং অভিনয় করবেন কিনা? আমি তাদের বলেছি আমি পুরো পুরি একজন সিনেমার মানুষ।  নাটকে আমার পেট ভরে না।  তাছাড়া অভ্যস্হতার একটা ব্যাপার আছে।  যেহেতু সিনেমা করতে করতে অভ্যস্হ হয়ে গেছি তাই নাটকে নিয়মিত হওয়া সম্ভব নয়।  তাছাড়া নাটকের ভালো স্ক্রীপ্ট পাওয়াও দুস্কর।  ভালো একটি নাটক নির্মান করতে গেলে সবার আগে দরকার ভালো একটি স্ক্রীপ্ট।  ভালো ক্রীপ্ট লেখার মানুষের খুবই অভাব।  নাটক নির্মান করতে নিয়ে আমার এই উপলব্দি হয়েছে।  তাছাড়া আজকাল নাটকের বাজেট সমস্যাও আছে।  ভালো একটি নাটক নির্মান করতে ভালো বাজেট দরকার সেটা সব সময় পাওয়া যায়না।  সমস্যা আরো আছে। একজন ভালো অভিনেতা বা অভিনেত্রী একদিনে বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করছেন।  একজন শিল্পী একদিনে অনেকগুলো চরিত্রে অভিনয় করার কারনে কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারেন না।  ভালো মানের নাটক না পাওয়ার এটাও অন্যতম একটি কারণ।  চলচ্চিত্রে আবার এই সমস্যা নেই।  একজন ব্যস্ত তারকা একদিনে একটি বা দু’টি ছবির বেশি কাজ করতে পারেন না।  এতে করে তিনি তার চরিত্র নিয়ে ভাবার সুযোগ পান।  আমি বলছি আমাদের সময়ের কথা।  এখন চলচ্চিত্রের ব্যস্ত নায়ক নায়িকারা এক সঙ্গে ৪/৫টি ছবিতেও কাজ করছেন।

এখনকার চলচ্চিত্র দর্শককে আর বিনোদিত করে না

মিষ্টি মেয়ে কবরীর প্রথম ছবি সুতরাং।  পরিচালক ও নায়ক ছিলেন সুভাষ দত্ত।  প্রথম ছবিতেই তিনি বাজিমাৎ করেছিলেন।  এদেশের তারকাদের মধ্যে একমাত্র কবরী অভিনীত ছবির শতকরা নব্বই ভাগই ব্যবসা সফল হয়েছে।  তিনিই একমাত্র নায়িকা যিনি দেশের খ্যাতিমান পাঁচ নায়কের প্রথম ছবির নায়িকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।  এর হলেন সোহলে রানা (মাসুদ রানা), ফার“ক (জল ছবি), জাফর ইকবাল (আপন পর), উজ্জ্বল (বিনিময়), আলমগীর (আমার জন্ম ভূমি)।  গত পাঁচ দশকে তিনি অভিনয় করেছেন প্রায় দেড়শ ছবিতে।  এর মধ্যে চলি­শটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি নায়ক রাজ রাজ্জাকের সঙ্গে।  উপমাহদেশের জনপ্রিয় জুটির মধ্যে কবরী রাজ্জাক জুটি অন্যতম।

কবরীর প্রথম পরিচালিত ছবির নাম আয়না।  এরপর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর তিনি আর নতুন ছবি নির্মাণ করার সময় পাননি।  দীর্ঘদিন পরে এই তুমি সেই তুমি নামে একটি ছবি পরিচালনা করার ঘোষনা দিয়েছেন।  ছবিতে দুটি জুটি অভিনয় করবেন।  একটি জুটি কবরী ও আলমগীর অন্য জুটি আরেফিন শুভ ও কলকাতার একজন নায়িকা।  ইতিমধ্যে নায়িকা চূড়ান্ত করেছেন তবে নাম ঘোষনা করেননি।  পরিচালনা ও অভিনয়ের পাশাপাশি কবরী এ ছবির গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও করেছেন।

Kobori-5কবরী বলেন, চলচ্চিত্রের একজন কমিটেড আটিষ্ট আমি।  আমার ইচ্ছে হয় নিয়মিত ছবি নির্মান করি।  কিন্তু ভালো একটি ছবি নির্মাণে যে অংকের টাকা প্রয়োজন তার যোগান দেয়া আমার প¶ে সম্ভব নয়।  আমাদের দেশে এখন প্রচুর ব্যবসায়ী আছেন যারা চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্যে হলেও বছরে দু’একটি ছবি প্রযোজনা করতে পারেন।  কিন্তু আমরা এতো দূর্ভাগা যে সচ্ছল কোনো ব্যবসায়ী ছবি প্রযোজনা করতে এগিয়ে আসেন না।  অথচ সবাই রাজনীতির পিছে দৌঁড়াচ্ছে।  কারন ছবি প্রযোজনা করার চাইতে ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি করাকে বেশি লাভ মনে করেন।  তাছাড়া আগে এফডিসি থেকে ছবি নির্মান করার যে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেত সেটাও এখন বন্ধ।  ডিজিটাল ফর্মেটে বেশির ভাগ ছবি নির্মিত হলেও এফডিসি রয়ে গেছে এনালগে।  এফডিসিতে ব্যবস্হাপনা পরিচালক হিসেবে যারা আসেন চলচ্চিত্র সর্ম্পকে তাদের ধারনা কম।  চলচ্চিত্র সর্ম্পকে যাদের ধারনা কম তারা চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্হায় কী উন্নয়ন করবেন? আমি রাজনীতিতে পাঁচ বছর সক্রিয় থাকার সময় অনেক মন্ত্রী, আমলা আমাকে দেখে অবাক হয়ে বলতেন আপা আপনার অনেক ছবি দেখেছি।  আপনি অসাধারণ অভিনয় করেন।  আমি তাদের সবার কাছে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা চেয়েছি কিন্তু তারা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেননি শুধু প্রতিশ্র“তি দিয়ে গেছেন।  বর্তমান মন্ত্রী পরিষদে একজন পূর্ণমন্ত্রী একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন।  দুজনেই টিভিতে দীর্ঘদিন অভিনয় করেছেন।  শুধু চলচ্চিত্র কেন সাংস্কৃতিক কোনো অঙ্গনের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা পাচ্ছিনা। আমাদের দেশে পুর্ণাঙ্গ একটি মুক্তি যুদ্ধের ছবি নির্মিত হওয়া দরকার বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের কাছে একটি দলিল হিসেবে রাখার জন্য।  যে চলচ্চিত্র এক সময় মানুষের প্রধান বিনোদন ছিল তার উন্নয়নে এখনই সবাই এগিয়ে না এলে ভবিষৎ হবে অন্ধকার।  খুবই পরিতাপের সঙ্গে বলতে হয় এখনকার চলচ্চিত্র মানুষকে আর বিনোদিত করে না।  চলচ্চিত্রের জগৎটাই যেন কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।  এখন যে সব ছবি নির্মিত হয় তা দেখে মন ভরে না পেটও ভরে না।  সব জায়গায় কেমন যেন এক অস্হির পরিবেশ।  আজকে নতুন প্রজন্ম নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।  যদি আমাদের বিনোদনের জায়গাটা শক্ত থাকতো, সৃজনশীল হতো তাহলে তর“ণ প্রজন্ম সুস্হ বিনোদন অন্বেষণ করে সময় কাটাতো কিন্তু সেই অবস্হা তো নেই।  তাই শুধু দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়ন করলেই চলবেনা।  সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি  মস্তিষক বিকাশেরও উন্নয়ন ও করতে হবে। প্রতিবছর অনুদানের জন্য যে টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় সেটা কী ভালো ছবি নির্মানের জন্য যথেষ্ট? আমার কাছে তা মনে হয় না।  এতো কম টাকায় একটা ভালো ছবি নির্মান করা সম্বব নয়।  আমি সরকারের কাছে দু’টি ছবি নির্মানের জন্য আবেদন করেছিলাম।  আবেদনে উলে­্যখ করেছিলাম অনুদান নয় আমাকে সরকারী ফান্ড থেকে ভালো ছবি নির্মাণের জন্য বিশেষ বরাদ্ধ দেয়া হোক।  সংশি­ষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে এ ব্যাপার আজও কোনো উত্তর পাইনি। যে চলচ্চিত্রে আমি বিগত পাঁচ দশক সস্মানের সঙ্গে অভিনয় করেছি সেই চলচ্চিত্রকে আমার মাঝে মধ্যে অচেনা লাগে।  আমি ঠিক মেলাতে পারিনা।  তবুও আশায় বুক বাধতে হবে, আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।  একদিন আমরাই পারব।  কিন্তু মাঝে মধ্যে সুন্দর স্বপ্ন গুলোর মধ্যে কেমন করে যেন দুঃস্বপ্নও হানা দেয় তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়।