Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এগিয়ে যাচ্ছে সানজিদা

মোহাম্মদ তারেক: চঞ্চল প্রজাপতির মতো ডানা মেলে কেউ কেউ উড়তে চায় তারার আকাশে। কেউবা স্বপ্নের ভেলায় চড়ে ভেসে যেতে চান দূরের পজেটিভ গন্তব্যে। কেউবা হতে চায় লাখো মানুষের স্বপ্নকন্যা। হতে চায় মিডিয়াকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আর এ স্বপ্নকে পুঁজি করে বেঁচে থাকা এবং নিরন্তর পথচলা। তেমনি এক স্বপ্নবাজ তরুণী সানজিদা শ্রাবণী। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দা তিনি। স্টেট ইউনিভার্সিটির বিবিএ-এর ছাত্রী। সাবলীল অভিনয়শৈলীর কারণে সানজিদা শ্রাবণী এ প্রজন্মের একজন প্রতিশ্রুতিশীল মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় নিয়েও ভীষণ ব্যস্ত থাকতে চান তিনি। এরই মধ্যে সানজিদা শ্রাবণী মডেলিং জগতে খুব অল্প সময়ে কিছু ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ব্যক্তি হিসেবে সানজিদা শ্রাবণী একটু ভিন্ন। ভীষণ আড্ডাবাজ। মিশুক প্রকৃতির। সহজেই সবার সঙ্গে মিশতে পারেন।

মিষ্টি হাসি এবং প্রাণবন্ত আলাপচারিতায় মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। কাজে খুব সিরিয়াস এবং সিনসিয়ারিটি মেনটেইন করেন। সানজিদার মধ্যে অভিনয়ের বীজটা ছোটবেলায় রোপণ হয়েছিল। স্কুল জীবন থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। নাচ ও অভিনয়ের প্রতিটি মাধ্যমেই পারদর্শী ছিলেন। তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন নাটকে অভিনয় করবেন কিংবা বিজ্ঞাপনের মডেল হবেন। স্বপ্নটা শেষমেশ সফল হয়েছে। হয়েছেন একজন মডেল ও অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘চল বাংলাদেশ’ বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিংয়ের মধ্যদিয়ে মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু। তিনদিন পর ডাক পেলেন আদনান আল রাজীবের ‘স্যামসাং জেড ওয়ান’ বিজ্ঞাপনের জন্য। তারপর মিষ্টার নুডলস, আরএফএল-এর গ্যাস স্টফসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিলবোর্ডের মডেল হয়েছেন তিনি।

পূজা রোজারিওর আরএফএল ওয়েটিং চেয়ারের বিজ্ঞাপনটি ছিল সানজিদা শ্রাবণীর জন্য টার্নিং পয়েন্ট। এই বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে সবাই সানজিদা শ্রাবণীকে চিনতে শুরু করে। আরএফএল-এর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দর্শক পরিচিতি অনেক বেড়ে যায়। একের পর এক বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন তিনি। তার অভিনীত বিজ্ঞাপনগুলো হচ্ছে আরএফএল-এর গ্যাস স্টফ, লুকাস ব্যাটারী, প্রাণ ম্যাকারনি নুডলস, আরএফএল-এর ট্রান্সফা চেয়ার, এলজির এসি, ওয়ালটনের মোবাইল, স্যামসং মোবাইল, প্রাণ রিকশার বিয়ারিং, অলিম্পিক বিস্কুটের ফাস্ট চয়েজ ইত্যাদি।

বর্তমানে সানজিদা শ্রাবণীর বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনই প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা রয়েছে তার। বিজ্ঞাপনের বাইরে বেশ কয়েকটি এবি করেছেন তিনি। যেমন- সানসিল্কের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রেদওয়ান রনির জার্নি অব সানসিল্ক গার্ল ও প্রাণ ফ্রুটো মমেন্ট অব সেলিব্রেশন ইত্যাদি। শুরুতে মেয়ের মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে আপত্তি করলেও মা এখন মেয়ের প্রশংসা করেন। বড় বড় বিলবোর্ডে মেয়ের ছবি দেখে মুগ্ধ হন। অজানেৱই মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে ওইতো আমার মেয়ের ছবি। বেশ অল্প সময়ের মধ্যে মডেলিং জগতে আলোচনায় চলে এসেছেন সানজিদা শ্রাবণী। এদিকে মডেলিং-এর মাধ্যমে দর্শক মহলে প্রশংসিত হওয়ায় সানজিদা শ্রাবণী অভিনয়ও করছেন। মডেল শ্রাবণীর অভিনয় জগতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘একটি তিন মাসের গল্প’ নামের একটি নাটক। এই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও বেড়ে যায়।

যতই দিন যাচ্ছে অভিনয়ে ততই নিজেকে পরিপক্ব করে তুলছেন মডেল ও অভিনেত্রী সানজিদা শ্রাবণী। মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও করে যাচ্ছেন নিয়মিত। ধ্রুব গুহের ‘আদরে রাখি বন্ধু’সহ কিছু মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে। দর্শকের কাছ থেকে পেয়েছেন অনেক প্রশংসা। নাচ, মডেলিং, অভিনয় করলেও বড় পর্দায় কাজ করার লক্ষ নিয়ে মূলত তিনি এগিয়ে চলেছেন।

সানজিদা শ্রাবণী বলেন, বিজ্ঞাপনে মডেলিং হয়েছি। নাটকও করছি। তবে আমার মূল লক্ষ্য বড় পর্দা। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রে নায়িকা হওয়ার প্রসৱাব পেয়েছি। বড় পর্দায় কাজ করতে চাই। তবে ভালো গল্পের ছবিতে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। প্রসৱাব পেলে অবশ্যই সিনেমায় অভিনয় করব।