Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এখন ফুলই ভালো লাগে! -ফেরদৌস ওয়াহিদ

২৬ মার্চ বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের জন্মদিন। কথা হলো খ্যাতিমান এই শিল্পীর সাথে।

আনন্দ আলো: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

ফেরদৌস ওয়াহিদ: মহান স্বাধীনতা দিবসে আমার জন্মদিন পালন হয়। খুবই ভালো লাগে। ওই দিন সাধারনত আমি গ্রামের বাড়িতে থাকি। আশে পাশের লোকজনদেরকে নিয়ে খুব মজা করে জন্মদিন পালন করি। খাওয়া দাওয়া করি। কেক কাটা হয়। বিকালে ঢাকায় চলে আসি। প্রতিবছরের মতো এবারও আমি গ্রামের বাড়িতে থাকব। সেখানে আমার জন্মদিন পালন করা হবে। বিকাল ৪টার পর ঢাকায় আসতে হবে। কারণ ওই দিন  অনলাইন রেডিও ওয়াহিদ-এ আমার জন্মদিন পালন করা হবে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন এবং এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

ফেরদৌস ওয়াহিদ: অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল খুবই আনন্দের। মজার দিন। এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম। বাসায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আসত। প্রচুর গিফট পেতাম। কেক কাটা হতো। ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া হতো। সবাই মিলে খুব মজা করতাম। ছোটবেলার জন্মদিনের আনন্দ ছিল অন্যরকম। বিশেষ করে বাবা-মায়ের আদর-স্নেহ একেবারেই ভোলা যায় না। এখনকার জন্মদিনে পারিবারিক সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস নেই।

আনন্দ আলো: সবার আগে কে আপনাকে জন্মদিনে উইস করে?

ফেরদৌস ওয়াহিদ: হাবিবের মা, হাবিব সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর হাবিবের স্ত্রী, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ী যারা আমাকে ভালোবাসে তারা উইশ করে। আবার আমার অনেক ভক্ত রাত ১২.০১ মিনিটে ফোন করে, মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক সাংবাদিক ভাই বন্ধুরাও জন্মদিনে উইশ করে। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

ফেরদৌস ওয়াহিদ: ছোটবেলায় নতুন নতুন জামা-কাপড় খেলনা উপহার পেতে ভালো লাগত। কৈশোর-যৌবনে বই, কলম ভালো লাগত। একটা সময় জন্মদিনে হাবিবের মা একটা খাম ধরিয়ে দিত। সেখানে কিছু টাকা থাকত। এই সময় এসে জন্মদিনে ফুল পেতে ভালোই লাগে।