Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এক কাপ চা চাই-ই চাই -দিলরুবা সাথী

উপস্থাপনা, অভিনয় এবং নাচ- তিন মাধ্যমেই কাজ করছেন দিলরুবা সাথী। বিটিভি’র নতুন কুঁড়িতে ১৯৯৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে তার শোবিজে যাত্রা শুরু। এরপর নাচসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তিনি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে চ্যানেল আইতে তারকাকথন, গানে গানে সকাল শুরুসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন সাথী। অভিনয়েও রয়েছে তার সমান দক্ষতা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমনত্মী’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘অতৃপ্ত কামনা’সহ বেশকিছু নাটক-টেলিফিল্মে সাথীর অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছে। আগামী ২৫ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে রেজানুর রহমান নির্মিত বিশেষ টেলিফিল্ম ‘সাইরেন’। এই টেলিফিল্মে সাথীকে একটি প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে। গবেষণায়ও কাজ করছেন সাথী। বর্তমানে তিনি নৃতাত্ত্বিক বিজ্ঞানে ভাবানুবাদ গবেষণার কাজ করছেন। আনন্দ আলো’র চা নিয়ে বিশেষ এই সংখ্যায় প্রচ্ছদমুখ হয়েছেন সাথী। চা নিয়ে যেহেতু শীর্ষ কাহিনী, তাই দিলরুবা সাথীর কাছে প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় সতেজ এই পানীয়টিকে তিনি কিভাবে দেখেন। ‘আমি সারাদিনই চা খাই। পানির চাইতে চা-ই বেশি খাওয়া হয়। আমি যেহেতু চ্যানেল আইতে ‘সকালের গানের অনুষ্ঠানটি করি তাই প্রতিদিন সকালে চিনি ছাড়া এক কাপ লাল চাই আমার চাই-ই চাই। আর সঙ্গে থাকে একটা বিস্কুট। এভাবেই প্রতিদিন আমার চা দিয়েই দিনটি শুরু হয়।’ বললেন সাথী। সন্ধ্যাবেলায় সাথী দুধ সমেত এক কাপ চা খান। যাকে তিনি পায়েস চা বলে সম্বোধন করেন। অনেক সময় তিনি দুধ চায়ে নানান ফ্লেভার দিয়ে থাকেন বলে জানান। এই যেমন কলা, কমলা কিংবা আঙ্গুর দিয়েও দুধ চা খেয়ে থাকেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সাথীর এক কাপ চা না হলেই চলে না। কথায় কথায় বললেন, ‘অনেকেই বলেন, রাতে নাকি চা খেলে ঘুম আসে না। আর আমার চা না খেলে বরং ঘুম আসে না। তাই তো চা খেলেই আমার ভালো ঘুম হয়। আমি আসলে এক কথায় চা খোর।

সাথী বন্ধুদের নিয়ে টংয়ের দোকানে চা খেতে খুব ভালোবাসেন। তবে সেটা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে জানান জনপ্রিয় এই উপস্থাপক। তাই টংয়ের দোকানে যেমন পুঁদিনা পাতার চা, মাল্টা চা, মরিচ চা পাওয়া যায় সেরকমই তিনি বাসায় বানানোর চেষ্টা করেন। চায়ের প্রতি সাথীর এই ভালোবাসা জন্মেছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে। সাথী বলেন, ‘আমার কর্মজীবন এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবন একই সঙ্গে শুরু হয়েছে। তাই সারাদিনের ক্লানিত্ম দূর করার জন্য আমি চায়ের প্রতি দূর্বল হতে থাকি। অফিসের কলিগদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা মিটিং-এ এক কাপ চা খেতেই হতো। এভাবেই আসেত্ম আসেত্ম চায়ের প্রতি সখ্যতা তৈরি হয়।

অভিনয়, নাচ এবং উপস্থাপনার পরিচয়ের বাইরে সাথী ভবিষ্যতে নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে দেখতে চান সাথী। ছোটবেলা থেকে তিনি এমন স্বপ্নই দেখেছেন এবং বর্তমানে সেই স্বপ্ন বাসত্মবায়নের পথেই এগুচ্ছেন বলে জানান তিনি।