সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
আনন্দ আলো: ২০ ডিসেম্বর আপনার জন্মদিন। দিনটা কীভাবে পালন করেন?
আফসানা মিমি: ছোটবেলায় মা জন্মদিনে আমার পছন্দের খাবার গুলো রান্না করতেন। ওটাই ছিল আমার জন্মদিনের মূল আনন্দ। তবে কখনোই আড়ম্বর পূর্ণভাবে জন্মদিন পালন করা হয়নি। এখন নিজের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকি। তারপরেও বিশেষ এই দিনে নিরিবিলি সময় কাটাতে পারলে ভালো লাগে।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?
আফসানা মিমি: এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি। তবে ছোট বেলায় জন্মদিন উপলক্ষে মা-খালারা ফ্রক বানিয়ে দিতেন। কি যে আনন্দ পেতাম ঈদ পার্বণ ছাড়া জামা পেতে। জন্মদিন উপলক্ষে পাওয়া একটা নতুন ফ্রক আমাকে অনেক আনন্দ দিত। এছাড়াও জন্মদিনে বাবা বই কিনে দিতেন। কিন্তু এখন আর উপহার পেতে ভালো লাগে না।
আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিনের সাথে এখনকার জন্মদিনের কোনো পার্থক্য খুঁজে পান?
আফসানা মিমি: না তেমন কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনা। একই রকম লাগে।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে সারপ্রাইজড হয়েছেন এমন কোনো স্মৃতির কথা জানতে চাই।
আফসানা মিমি: আমি তখন কাছের মানুষ ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করি। ২০০৫ সালের কথা। বরাবরের মতই জন্মদিনের দিনে ছুটি নিয়েছি। সুবর্ণা আপা হন্তদন্ত হয়ে ফোন করলেন, খুব আরজেন্ট একটা কাজ পড়ে গেছে তুমি বিকেলে চলে এসো। কাজের কথা উল্লেখ না করে ফোন কেটে দিলেন। আমি ভাবলাম মারাত্মক কিছু হলো নাকি! টেনশন নিয়ে বিকেলে তার সামনে উপস্থিত হলাম। ‘কাছের মানুষ’ ধারাবাহিকের পুরোটিম জন্মদিন উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করে রেখেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি তো হতবাক। সেই ঘটনাটা আজো মনে পড়ে। পুরো আয়োজনটা করেছিলেন সুবর্ণা আপা আর নায়ক আলমগীর ভাই।