Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ইমপ্রেস-এর বছরের শেষ ছবি লালচর

জাকীর হাসান: নদীমাতৃক বাংলাদেশের জীবন বৈচিত্র্য ব্যতিক্রম এক গল্প গাঁথা। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী জনপদের জীবনধারা নানান সংগ্রাম হাসিকান্না, টানাপড়েন অন্যসব জাতি গোষ্ঠীর চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। তাদের কাছে নদীই জীবন, নদীই জীবিকা।
পদ্মা পারের মানুষের জীবনের কথাই ধরা যাক। কোনো একদিন স্রোতে আর পানির তোড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মাইলের পর মাইল। আবার কোনোদিন সুবে সাদেকের পর পূর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগেই নদীর তীরে জেগে উঠা চর স্বপ্নকে বাস্তবিক করে তোলে সেখানকার মানুষের। তবে নদী তীরবর্তী মানুষের হাসি আনন্দের চাইতে দুঃখ কষ্ট আর বেদনাই সঙ্গী হয় বার বার। কারণ সহজ সরল নদী পারের মানুষেরা মন্দ মানুষের কথার মারপ্যাঁচ বোঝে না। পানির মতো স্বচ্ছ মন মানসিকতা তাদের। একে অপরের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে মায়া মমতায় বেঁচে থাকে তারা। নতুন কোনো চর জেগে উঠলে নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়। কিন্তু সেই স্বপ্নে ছোবল মারে ক্ষমতাবানরা। দখলের চেষ্টায় মেতে ওঠে। চিৎকার করে জানান দেয় এই জেগে ওঠা নতুন চর আমার। একসময় ক্ষমতাবানরা চর দখলে নেমে পড়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। এতে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদ করে নদী পারের মানুষেরা। শুরু হয় দ্বন্দ্ব আর বিবাদ। এমনি একটি গল্পের চলচ্চিত্র লালচর। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘নদী উপাখ্যান’ উপান্যাস অবলম্বনে নির্মিত। অভিনেতা, সংগঠক, নাট্যকার নাদের চৌধুরী পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘লালচর’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ ও জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২৫ ডিসেম্বর।
‘লালচর’ ছবিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, শহিদুজ্জামান সেলিম, মাসুম আজিজ, সাবিহা আজিজ, তনুজা, কাজী শিলা, রফিকুল্লাহ সেলিম এবং নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহনা মীম এবং একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক নাদের চৌধুরী স্বয়ং ছবিটি এখন দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেদিন শীতের এক সকালে আনন্দ আলোর সঙ্গে এক আড্ডায় বসেছিলেন ছবির পরিচালক নাদের চৌধুরী ও নায়িকা মীম। ছবির নায়ক আনিসুর রহমান মিলন তখন অবস্থান করছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আড্ডায় তিনিও ইন্টারনেটে সংযুুক্ত হয়েছিলেন আমাদের সঙ্গে।
nader-Chowdhury (2)আনন্দ আলো: প্রথমেই জানতে চাই ছবিটি পর্দায় দেখে আপনার কেমন লেগেছে?
নাদের চৌধুরী: একজন নির্মাতার কাছে তার পরিচালিত ছবি হলো সন্তানের মতো। সন্তানকে যেমন কাছ থেকে বার বার দেখতে ভালো লাগে আমিও তেমনি বার বার ছবিটি দেখি। নির্মাণ থেকে মুক্তি দেয়ার দিন পর্যন্ত ছবিটি অনেক বার দেখেছি। আমার নিজের ছবি সে কারণে বলছি না। আসলে এটি পূর্ণাঙ্গ একটি ছবি। এতে একটি চমৎকার গল্প আছে। বাণিজ্যিক ছবির জন্য যে যে রসগুলো থাকা দরকার তার সবই আছে। ছবিতে দ্বন্দ্বমুখর জীবন আছে, প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে। আমি নায়ক-নায়িকাকে বলেছিলাম প্রেম জমিয়ে করো, মন থেকে করো। তারা সেটা করতে পেরেছে।
ছবিতে সবাই খুবই ভালো অভিনয় করেছেন সিনিয়র থেকে জুনিয়র প্রতিটি শিল্পী। একটি ঘটনার কথা বলি। শেষ দিনের শ্যুটিং। নায়ককে বেদনাবিধুর বিদায় জানাবে নায়িকা। নায়িকা মীম চরিত্রের ভেতর এমন ইনভলব হয়ে গিয়েছিলেন ডায়ালগ বলার পর এমনভাবে কাঁদতে থাকেন ক্যামেরা কাট বলার পরও দেখলাম ও কাঁদছে। ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন তাদের প্রত্যেকে এতো ভালো অভিনয় করেছেন যে সত্যিকারেই আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রত্যেকে জানবাজি রেখে কাজ করেছেন কে কার চাইতে ভালো অভিনয় করবেন এ নিয়ে শ্যুটিং-এর সময় প্রতিযোগিতা হতো রীতিমতো।
আরো একটি ঘটনার কথা বলি। আমাদের বিশাল ইউনিটে একজন সদস্য যে কিনা সাঁতার জানে না। উন্মুত্ত পদ্মার একেবারে মাঝখানে শ্যুটিং হচ্ছে। ছেলেটি ফাইটিং দৃশ্যে অভিনয় করছে। আমি তাকিয়ে দেখছি আর ভাবছি যদি ছেলেটি পানিতে পড়ে যায় তখন তার কী হবে। ছেলেটির সেদিকে কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই সে অসীম সাহসের সঙ্গে ফাইট করে যাচ্ছে। এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে এ ছবি করতে গিয়ে।
আনন্দ আলো: আপনার পরিচালক জীবনে প্রথম ছবি ইমদাদুল হক মিলনের নদী উপাখ্যান অবলম্বনে ‘লালচর’। এই গল্পকে কেন বেছে নিয়েছিলেন?
নাদের চৌধুরী: আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি মনে রাখার মতো কাহিনী খুঁজছিলাম ভালো একটি ছবি করার জন্য। মিলন ভাইয়ের নদী উপাখ্যান পড়ার পর আমার পছন্দ হয়ে যায়। যদিও এই উপন্যাস অবলম্বনে ছবি করা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ছবিটি করেছি। আপনারা জানেন ছবিটি সরকারি অনুদানে নির্মিত কিন্তু অনুদানের টাকায় আজকাল ভালো একটি ছবি করা যায় না। তাই ছবিটিতে প্রযোজনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ ও জাজ মাল্টিমিডিয়া। জাজের পরিবেশনায় সারাদেশের অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে ‘লালচর’ মুক্তি পেয়েছে।
আনন্দ আলো: আমাদের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বড় অভাব হচ্ছে দর্শকের। তো ‘লালচর’ দর্শককে কেন আকৃষ্ট করবে?
নাদের চৌধুরী: ‘লালচর’ সুস্থধারার একটি বাণিজ্যিক ছবি। আমি ছবি বানিয়েছি দর্শকের কথা মাথায় রেখে। সঙ্গত কারণে দর্শকরা ছবিটি দেখবে। ছবিতে অসাধারণ একটি মৌলিক গল্প আছে। আছে জীবন সংগ্রাম, ঘাত প্রতিঘাত, গান, নাচ, প্রতিবাদ, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটে যাওয়া ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা। ইতিমধ্যে যারা ছবিটি হলে বসে দেখেছেন তারা প্রশংসা করেছেন।
আনন্দ আলো: আমাদের চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?
নাদের চৌধুরী: বর্তমান চলচ্চিত্রে যারা সুস্থধারার ছবি নির্মাণ করছেন তাদের আর্থিক সংকট আছে। এই সংকটের কারণে তারা তাদের ছবির পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারছেন না। একটি ভালো ছবি নির্মাণে যে উপকরণ দরকার এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সেগুলো তারা পাচ্ছেন না। যে কারণে ভালো ছবি নির্মিত হচ্ছে না। যেমন আমি সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ছবি নির্মাণ শুরু করি। এই নীতি সবার অনুসরণ করা প্রয়োজন। সুতরাং দর্শককে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে হলে এবং চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে দিতে চাইলে, একই ধরনের গল্প, একই ধরনের কস্টিউম, একই ধরনের অভিনয় প্যাটার্ন বদলে ফেলতে হবে। এ থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে দেশের মৌলিক গল্পের উপর জোর দেয়া, অভিনয় সমৃদ্ধ গল্পের উপর নির্ভর করা। যারাই ভালো ছবি নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন তাদের শুধু একটি কথাই বলবো ছবি নির্মাণের জন্য যে কষ্ট করছেন টোটাল লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়ার পর সেই কষ্ট করুন। তা না হলে আপনিও হতাশ হবেন, দর্শকও হতাশ হবেন এবং চলচ্চিত্র গভীর সংকটে পড়বে।
আনন্দ আলো: আবার কবে নতুন ছবি শুরু করবেন?
নাদের চৌধুরী: আমিতো চাই কাল থেকে শুরু করতে। কিন্তু সেটাতো সম্ভব হবে না। তবে একটি ভালো গল্পের লাইনআপ করা আছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও লগ্নিকারকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। ব্যাটেবলে হলেই কাজ শুরু করবো। তবে পুরো লজিস্টিক সাপোর্ট হাতে না পেলে শুরু করব না।

1আনন্দ আলো: মুক্তি পাওয়ার আগেই ছবিটি আপনি দেখেছেন, তো কেমন লেগেছে?
আনিসুর রহমান মিলন: আমি ছবিটি হলে দেখিনি তবে ডাবিং এডিটিং-এ দেখেছি। ছবিটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমার মনে হয়নি নাদের ভাইয়ের প্রথম পরিচালিত ছবি। মনে হয়েছে তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন পরিচালক। তার প্রতিটি কাজ সুন্দর সাবলিল ও গোছানো ছিল। আরো একটি কথা বার বার মনে হয়েছে তাহলো ছবিটি করতে গিয়ে আমরা পদ্মা পারে শুটিং-এ যে কষ্ট করেছি সেটা স্বার্থক হয়েছে। ছবিতে প্রতিটি শিল্পী অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
মোহনা মীম: আমি এই ছবির একজন ইউনিট মেম্বার হিসেবে বলছি না একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে বলছি। লালচর সুস্থধারার একটি ছবি নয় শুধু এটি দেখার মতো ছবি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা হলে বসে দেখার মতো ছবি। আজকালতো সিনেমা হলে বসে ছবি দেখা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে কিন্তু এই ছবিটি হলে বসে দেখে মজা পাবেন দর্শকরা। আরো একটি কথা বলতে চাই ‘লালচর’ দেখে মনে হয়েছে আমি সত্যিই একজন ভাগ্যবান শিল্পী। ছবিতে অনেক গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন তাদের মধ্যে আছেন মাসুম আজিজ, শহিদুজ্জামান সেলিম, আনিসুর রহমান মিলন এবং পরিচালক নাদের চৌধুরীও একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
আনন্দ আলো: নিজের অভিনয় দেখে কেমন মনে হয়েছে?
আনিসুর রহমান মিলন: নিজের অভিনয় কখনো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয় না। কখনো চুলচেরা বিশ্লেষণও করিনি। তবে এই ছবিতে নিজের অভিনয় দেখে একটি কথা বার বার মনে হয়েছে তা হলো হয়তো আরো ভালো অভিনয় করতে পারতাম এবং করা উচিত ছিল।
মীম: আমি এর আগে শুধু একটি মাত্র টেলিফিল্মে অভিনয় করেছি। আনসার আলী টকার নামের ঐ টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন নাদের আংকেল। চ্যানেল আইতে প্রচার হওয়া ঐ টেলিফিল্মের পর দ্বিতীয়বার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম ‘লালচর’ ছবিতে। সেই দিক দিয়ে আমি অভিনয়ে একেবারেই নতুন। ছবিতে কেমন অভিনয় করেছি বা আদৌও অভিনয় করতে পেরেছি কিনা সেটা বলতে পারবেন সম্মানিত দর্শক। যতটুকু করতে পেরেছি তার পুরো কৃতিত্ব নাদের আংকেলের কারণে। এজন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমরা যখন শ্যুটিং করেছি তখন পরিচালক এমন নিয়ম-কানুনের মধ্যে কাজ করিয়েছেন মনে হয়েছে কোনো আর্মি অফিসারের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা অবশ্য পরিচালককে প্রচণ্ড ভয় পেতাম বলে তাকে বাঘ বলে সম্বোধন করতাম শ্যুটিং-এর সময়।
আনন্দ আলো: নায়ক বলুন নায়িকা সম্পর্কে এবং নায়িকা বলুন নায়ক সম্পর্কে ?
আনিসুর রহমান মিলন: একজন নবীন অভিনেত্রী হিসেবে বেশ ভালো অভিনয় করেছেন মীম। তবে স্পেশালী মীম নাচে খুবই পারদর্শী কারণ ও চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে চ্যাম্পিয়ন। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে মীম অমায়িক, শিক্ষিত ও একজন সমভ্রান্ত মানুষ। ওর আইকিউ খুব সার্প, অল্পতেই একটি বিষয় আয়ত্ত করতে পারে। এক্সপ্রেশন চমৎকার, সহযোগিতা ভাবাপন্ন। ও যদি চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করে তাহলে ভবিষ্যতে অনেক বড় হবে। আমি ওর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
মীম: মিলন ভাইকে আমি এই ছবি করার আগে সামনা সামনি কখনো দেখিনি। তার অনেক নাটক দেখেছি টিভি পর্দায়। ছবি শুরুর মুহূর্তে ক্যামেরার সামনে তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। প্রথম দিকে তার সঙ্গে কাজ করতে নার্ভাস ছিলাম কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিচালক বিষয়টি বুঝতে পেরে সময় নিলেন। নায়ক নিজেও বিষয়টি বুঝতে পেরে আমার সঙ্গে কথা বললেন। সবাই মিলে আলাপ আলোচনার পর আমি ইজি হয়ে যাই। মিলন ভাই আমাকে শ্যুটিং-এর সময় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। পরিচালক নাদের চৌধুরী আমাকে সব সময় একজন শিক্ষকের মতো বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি এভাবে সহযোগিতা না করলে হয়তো আমি এতো ভালো অভিনয় করতে পারতাম না।

ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি

-ইমদাদুল হক মিলন
imdadul-Haq-copyবিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। তাঁর অসংখ্য গল্প-উপন্যাস নিয়ে খণ্ড নাটক, এক ঘণ্টার নাটক টেলিফিল্ম ও দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক নির্মিত হয়েছে। তিনি দেশের একজন জনপ্রিয় নাট্যকারও। তাঁর উপন্যাস নিয়ে এপর্যন্ত তিনটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। প্রথমটি নির্মাণ করেছেন শাহজাহান চৌধুরী। ছবির নাম ‘আত্মদান’। দ্বিতীয়টি নির্মাণ করেছেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবির নাম ‘আয়না কাহিনী’। তৃতীয় ছবি ‘লালচর’ নির্মাণ করেছেন অভিনেতা, নির্মাতা নাদের চৌধুরী। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গত ২৫ ডিসেম্বর।
লালচর ইমদাদুল হক মিলনের ‘নদী উপাখ্যান’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি। এ ছবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘লালচর’ ছবিটি আমি সিনেমা হলে বসে দেখেছি। আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। নির্মাণ শৈলী থেকে শুরু করে ছবির গল্প বিন্যাস, শিল্পীদের অভিনয়, গান এবং চিত্রগ্রহণ সব কিছুই অসাধারণ হয়েছে। ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এর আগে নায়ক রাজ রাজ্জাক আমার উপন্যাস নিয়ে ‘আয়না কাহিনী’ নামে যে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন সেটিও চমৎকার একটি ছবি হয়েছে। তবে আমার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত তিনটি ছবির মধ্যে ‘লালচর’ ছবিটি কেই সেরা মনে হয়েছে।